রবিবার সুনন্দা পুষ্করের ভিসেরা রিপোর্ট সামনে এল। মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের বিষক্রিয়াকেই চিহ্নিত করেছে রিপোর্ট। পুলিশ অবশ্য এখনও সন্তুষ্ট নয় সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল)-এর এই রিপোর্টে। তাদের বক্তব্য, রিপোর্টটি অসম্পূর্ণ। এটা থেকে কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়।
১৭ জানুয়ারি দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে ৫২ বছরের সুনন্দার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ১৫ তারিখ সুনন্দার স্বামী শশী তারুরের টুইটারে এক পাক সাংবাদিক মেহর তরারের একাধিক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ১৬ তারিখ ফেসবুকে শশী ও সুনন্দা জানান, তাঁরা দু’জনেই সুখী দম্পতি। তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে যা কিছু বিতর্ক হয়েছে তার কোনওটাই সত্যি নয়। কিন্তু এই ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি, সুনন্দা পুষ্করের হঠাৎ মৃত্যু নিয়ে ঘনিয়ে ওঠে রহস্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, সুনন্দার মৃত্যু “আচমকা এবং অস্বাভাবিক”।
সুনন্দার পরিবারের সকলের জবানবন্দি নেওয়ার পর দিল্লি পুলিশের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়ে দেন, সুনন্দার স্বামী, ভাই বা ছেলে কেউই এই খুনের সঙ্গে জড়িত নন। আরও বিস্তারিত পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করা হয় সুনন্দার ভিসেরা। পাঠানো হয় সিএফএসএল-এর কাছে। সেই রিপোর্টই শুক্রবার দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে সিএফএসএল।
রিপোর্ট বলছে, অ্যালপ্রাজোলাম ও এক্সেড্রিন নামের দু’টি বিপরীতধর্মী ওষুধ নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে সুনন্দার শরীরে। তবে সেই মাত্রা ঠিক কতটা, তা নিয়ে স্পষ্ট আলোকপাত করতে পারেনি রিপোর্ট। সে কারণেই এখনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়, যে অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবন করে সুনন্দা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন, নাকি নিছকই দুর্ঘটনাবশত মারা গিয়েছেন তিনি।