বাসে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান রাহুল

দেশকে বিশ্বের ‘সুপার-পাওয়ার’ করার বদলে, বাসে-ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেশি আগ্রহী রাহুল গাঁধী। তাঁর কথায়, “ভারত সুপার-পাওয়ার হয়ে উঠছে বলে অনেক কিছু শোনা যাচ্ছে। দেশকে আরও ক্ষমতাশালী করার চেয়ে, বাসে মেয়েদের নিরাপত্তার দিকেই আগে নজর দিতে চাই আমি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:২৭
Share:

কামাখ্যা মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে অনুরাগীদের মাঝে। ছবি: পি টি আই।

দেশকে বিশ্বের ‘সুপার-পাওয়ার’ করার বদলে, বাসে-ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেশি আগ্রহী রাহুল গাঁধী। তাঁর কথায়, “ভারত সুপার-পাওয়ার হয়ে উঠছে বলে অনেক কিছু শোনা যাচ্ছে। দেশকে আরও ক্ষমতাশালী করার চেয়ে, বাসে মেয়েদের নিরাপত্তার দিকেই আগে নজর দিতে চাই আমি।”

Advertisement

আজ গুয়াহাটির এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাবার্তার সময় ছাত্রীদের প্রশ্নের জবাবে রাহুলের পাল্টা মন্তব্য ‘রাস্তাঘাটে তোমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা হয়? বাসে-ট্রামে নিজেকে নিরাপদ মনে করো?’ নিজেই উত্তরটাও দেন। বলেন, “দেশের কোনও তরুণী যদি বাসে নিজেকে নিরাপদ মনে করতে না-পারেন, তবে কী ভাবে আমরা নিজেদের সুপার-পাওয়ার বলে দাবি করতে পারি!”

সনিয়া-তনয়ের বক্তব্য, দেশের ৫০ শতাংশ নাগরিকই মহিলা। তাঁদের কারও কাছে যদি জানতে চাওয়া হয়, রাস্তায়-বাসে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন কি না, বা অন্যেরা ভাল ব্যবহার করেন কি না, তা-হলে উত্তরে না-ই বলবেন সবাই। রাহুলের মন্তব্য, “ছেলেরাই মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। তাদের বোঝা উচিত, জনসংখ্যার অর্ধেক মেয়েরা।” কর্মক্ষেত্রেও মহিলাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় বলে মন্তব্য করেন রাহুল। তাঁর কথায়, “ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেই তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু, রাস্তাঘাটে প্রতিদিন মেয়েরা যে সমস্যায় পড়েন, তা নিয়ে কেউ চিন্তা করেন না।” তিনি এই মনোভাব বদলের পরামর্শ দেন।

Advertisement

পড়ুয়াদের সঙ্গে মত-বিনিময়ের সময় উত্তর-পূর্বে সন্ত্রাস, অসমে সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন, বিভিন্ন উপজাতির স্বশাসিত পরিষদ গঠনের দাবি থেকে শুরু করে নিদো টানিয়ার হত্যা প্রসঙ্গও ওঠে। ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন মন দিয়ে শোনেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। উত্তরও দেন। তিনি বলেন, “আমি গাঁধীর নীতিতে বিশ্বাসী। আমার মনে হয়, দু’পক্ষের আলোচনা, পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধের মাধ্যমে শান্তি ফেরানো সম্ভব।” নিদো টানিয়ার খুনের প্রেক্ষিতে উত্তর-পূর্বের মানুষ, এখন দেশের অন্য প্রান্তে যেতে ভয় পাচ্ছেন, এ কথা মেনে নেন তিনি। একই সঙ্গে বলেন, “ওই আতঙ্ক মুছে ফেলতে হবে। সমস্ত বাধা দূর করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যাতে উত্তর-পূর্বের বাসিন্দারা নির্ভয়ে দেশের যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন।” ভারতের অন্য প্রান্তের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের যোগাযোগ আরও নিবিঢ় করতে গত ৫-১০ বছরে এই অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার দিকে কেন্দ্রীর নজর দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রাহুল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement