ভারতের দক্ষিণ অসম ও বাংলাদেশের শ্রীহট্ট ডিভিশনের জেলাশাসক পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে উৎসুক শিলচর জেলে বন্দি বাংলাদেশিরা।
অনুপ্রবেশের জেরে ধরা পড়ার পর শিলচরের জেলই এখন তাঁদের ঠিকানা। শাস্তির মেয়াদ শেষ হলেও, প্রক্রিয়াগত কারণে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। দু’দেশের জেলাশাসকদের বৈঠকের পর মুক্তির স্বাদ মিলতে পারে বলে আশায় রয়েছেন বাংলাদেশের ২৫ জন বন্দি। বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। শ্রীহট্টের জেলাশাসক মহম্মদ শহিদুল ইসলাম ও মৌলবীবাজারের জেলাশাসক কামরুল হাসান জানান, সে জন্য দ্রুত দু’দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি প্রয়োজন। কিন্তু শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়া বন্দিদের জন্য তেমন কোনও চুক্তির প্রয়োজন নেই। তাই শিলচর জেলে থাকা ২৫ জনকেই তাঁরা ফিরিয়ে নিতে পারেন।
করিমগঞ্জের জেলাশাসক সঞ্জীব গোঁহাইবরুয়া জানান, ওই বন্দিদের ছাড়ার জন্যও বিদেশ মন্ত্রকের অনুমতি প্রয়োজন। কাছাড়ের জেলাশাসক গোকুলমোহন হাজরিকা জানান, সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে।
শিলচর জেলে শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দিন কাটাচ্ছেন ২৫ জন বাংলাদেশি ও মায়ানমারের ৮ নাগরিক। কাছাড় জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্রের সচিব মাহমুদ হোসেন বড়ভুঁইয়া গত অক্টোবরে জেল পরিদর্শন করে তাঁদের মুক্তির জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র কমিশনার ও কারা বিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেলকে চিঠি লিখেছিলেন। আজ শিলচরে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলাশাসকরা আরও জানান, এই অঞ্চলে সীমান্ত-হাট চালুর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। রেল পরিষেবার বিষয়েও কথা এগোবে। ছ’মাস পর ফের বৈঠক হবে বাংলাদেশে।