ভূস্বর্গে জোটের জল্পনা উস্কে দিল মুখ্যমন্ত্রীর টুইট-ই

ভূস্বর্গের ভাগ্য নির্ধারণের ঠিক আগে একটি টুইট। তা নিয়েই প্রবল জল্পনা শুরু হল রাজনৈতিক শিবিরে। শেষ পর্যন্ত আজ ব্যাখ্যা দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। জানালেন, টুইটের উপরে ভিত্তি করে রাজনৈতিক জোট হয় না। সম্প্রতি ওমর আবদুল্লা টুইটারে মন্তব্য করেন, “ইউপিএ সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বাজপেয়ীজিকে ভারতরত্ন দিলে খুশি হতাম।” অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারে মন্ত্রী ছিলেন ওমর। কিন্তু তার পরে বিজেপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সম্পর্কে জল অনেক দূর গড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর ও রাঁচি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫২
Share:

ধানবাদে আইটিআই-এর মাঠে ভোট-বোঝাই ইভিএম। আজ গণনা। তার আগে ইভিএমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় প্রশাসনের কর্তারা। ছবি: চন্দন পাল

ভূস্বর্গের ভাগ্য নির্ধারণের ঠিক আগে একটি টুইট। তা নিয়েই প্রবল জল্পনা শুরু হল রাজনৈতিক শিবিরে। শেষ পর্যন্ত আজ ব্যাখ্যা দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। জানালেন, টুইটের উপরে ভিত্তি করে রাজনৈতিক জোট হয় না।

Advertisement

সম্প্রতি ওমর আবদুল্লা টুইটারে মন্তব্য করেন, “ইউপিএ সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বাজপেয়ীজিকে ভারতরত্ন দিলে খুশি হতাম।” অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারে মন্ত্রী ছিলেন ওমর। কিন্তু তার পরে বিজেপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সম্পর্কে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। আগামী কাল জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের ফল জানা যাবে। ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত দিচ্ছে বুথ-ফেরত সমীক্ষা। সেই পরিস্থিতিতে ওমরের এই মন্তব্যে রাজনীতির গন্ধ খুঁজতে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই। প্রশ্ন ওঠে, ওমর কি বিজেপির সঙ্গে জোট করতে চাওয়ার জন্যই জমি তৈরি করছেন।

আজ শ্রীনগরে ওমর বলেন, “একটি টুইট দেখে যাঁরা রাজনৈতিক জোট নিয়ে জল্পনা করেন, তাঁরা জানেন না রাজনীতি কোন পথে চলে।” ওমরের দাবি, তিনি বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা করেন। তাই ওই মন্তব্য করেছেন। রাজনীতির কথা ভেবে নয়।

Advertisement

তবে অনেকের মতে, ওমর মুখে যা-ই বলুন, রাজনৈতিক জমি তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে। জম্মু-কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি-র মধ্যে যাদের আসন সংখ্যা বেশি হয় তারা কংগ্রেস বা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়। এ বারও ত্রিশঙ্কু বিধানসভার কথা ভেবে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে ওই দুই আঞ্চলিক দল। নরেন্দ্র মোদী হাওয়ায় বিজেপির আসন সংখ্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে ওমর বা মেহবুবা মুফতিরা মোদীর দলের সঙ্গে জোট গড়তেই পারেন।

এক রাজনীতিকের কথায়, “জোট গড়ার আগে এই ধরনের কথা বলার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার আগে তাদের সম্পর্কে ভাল কথা বলেছিলেন রামবিলাস পাসোয়ান।”

ঝাড়খণ্ডেও ভোটের ফল ঘোষণা হবে আগামী কাল। এ বারের নির্বাচন ঝাড়খণ্ডের জন্য সব দিক থেকেই আলাদা। কারণ, রাজ্যে এ বার জোরালো হয়ে উঠেছে স্থায়ী সরকার গড়ার দাবি। রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার তৈরির জন্য মরিয়া বিজেপি। এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সম্মানও। আবার সাঁওতাল পরগনা তথা রাজ্যে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে তৎপর জেএমএম নেতৃত্ব। ফল বেরোনোর চব্বিশ ঘণ্টা আগেই বিজেপি ও জেএমএম---দু’দলই সরকার তৈরির দাবি নিয়ে বিবৃতি, পাল্টা-বিবৃতি দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। আপাতত মঙ্গলে ঊষার অপেক্ষা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন