একেবারে হাত থেকে ফস্কে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির জন্য খানিক লড়াই জিইয়ে রাখার রসদ পেলেন মুকুল সাংমা। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী থেকে তিন কংগ্রেস হেভিওয়েট বিধায়ক তথা মন্ত্রী আমপারিন লিংডো, রোশন ওয়ারজিরি ও এইচডিআর লিংডো ডি ডি লাপাংয়ের হাত ছেড়ে ফিরলেন মুকুল শিবিরে।
রাজ্যের ২৯ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ২০ জন ইতিমধ্যেই নেতৃত্ব বদল চেয়ে হাইকম্যান্ডকে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডি ডি লাপাংকে নতুন নেতা নির্বাচন করেন। লাপাং হাইকম্যান্ড ও এআইসিসির পর্যবেক্ষক ভি নারায়ণস্বামীকে সেই কথা জানান। নারায়ণস্বামী সব বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে নিয়ে লাপাংকে তাঁর সামনে হাজির হতে বলেছিলেন।
কাল সকালে আমপারিন, রোশন ও এইচডিআর মতবদল করেন। আঁচ পেয়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেন লাপাং। রাতে তিন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি ভবনে সাংমার সঙ্গে বৈঠকে করে তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন। সাংমা শিবিরের খবর, আরও কিছু বিধায়ককে টানতে পারেন সাংমা। এআইসিসি আগেই জানায়, দলীয় বিবাদ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলেলে ভাল। সাংমা নিজের দল মজবুত করার পাশাপাশি আপস-মীমাংসার সূত্রেই জোর দিচ্ছেন।
অন্য দিকে, শুক্রবার শিলংয়ের পোলোর মাঠে নরেন্দ্র মোদীর অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার গাফিলতি নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর রাজ্য বিজেপি। ওই অনুষ্ঠানে আসা অনেক ছাত্রছাত্রীর স্কুলের ব্যাগ, ছাতা খোয়া গিয়েছে। মূল মণ্ডপ ছোট হওয়ায় খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও দর্শকদের আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে মোদীর ভাষণ শুনতে হয়েছে। নিরাপত্তার অজুহাতে অনেকের অনেক জিনিস কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ফেরতও দেওয়া হয়নি।