মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাত্রী বাড়ছে। তাই সপ্তাহে দু’দিনের বদলে তিন দিন মৈত্রী এক্সপ্রেস চালানোর কথা ভাবছেন ভারত-বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত চার-পাঁচ কিলোমিটার নতুন একটি রেলপথ তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ রেল মন্ত্রালয় থেকে আসা দুই কর্তার সঙ্গে ভারতীয় রেল বোর্ডের কর্তাদের বৈঠক হয়। সেখানেই ওই প্রস্তাব নিয়ে কথা হয়। তবে আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে রেল যোগাযোগের বিভিন্ন বিষয়ে দু’দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে বলে রেল বোর্ড সূত্রের খবর।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, বর্তমানে ভারতের গেদে ও বাংলাদেশের দর্শনা দিয়ে দু’দেশেরই একটি করে ট্রেন কলকাতা-ঢাকা যাতায়াত করে। ওই ট্রেনে মোট ৪৫৯ জন যাত্রীর আসন রয়েছে। বাংলাদেশের ট্রেনেও ৩২৬ জনের আসন রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ২০১০ থেকে দু’বছর যাত্রী সংখ্যা এক হাজার করে বেড়েছে। আবার ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। এ বছরও যাত্রীর ভিড় যথেষ্ট। সে কথা মাথায় রেখেই দু’দেশের রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেন বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়েছেন। তবে সবই নির্ভর করছে নভেম্বরে দিল্লিতে দু’দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের উপর।
পাশাপাশি রেল কর্তারা জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই আগরতলা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত একটি নতুন লাইন তৈরি করা হবে। তাতে যাত্রিবাহী ট্রেন তো চলবেই, পাশাপাশি পণ্য পরিবহণও হবে। পণ্য পরিবহণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনেও আগ্রহী ভারত।