এই লেখা নিয়ে যখন বসেছি, জ্যৈষ্ঠ শেষ হতে আর দিন তিনেক বাকি। আকাশে মাঝেমধ্যে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ ভাসছে। এই মেঘে বৃষ্টি হয় না। সে রকম কালো মেঘে আকাশ ছাইছে কই। দুপুরে ঝাঁ ঝাঁ করছে রোদ আর সেই রকম গরম। আল্লা মেঘ দে, পানি দে এই রুখাশুখা মুম্বইয়ের বুকে। কত দিন বৃষ্টিতে ভিজি না। আপনারা এ লেখা যখন পড়বেন, রিমঝিম ‘বারিশ’ কি ঝরবে না? মেঘমল্লারের সুর কি ভেসে বেড়াবে না আকাশে-বাতাসে? (শুনলাম, কলকাতায় এখন প্রায় প্রতিদিন হাল্কা-মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে।)
শুনতে পাচ্ছেন সুধীজন, শুনতে পাচ্ছেন? বাঁশির সুর। কী রাগে আলাপ করছে ওই বাঁশি? মেঘমল্লার? হ্যাঁ, মেঘমল্লারই তো? বাঁশির সুরে সুরে নীলপর্বতের চূড়োয় ধীরে ধীরে জমছে মেঘ। বিদ্যাপতি চলেছে শবররাজ বিশ্ববসুর পশ্চাতে। চোখ তার একটি বস্ত্রখণ্ডে আবৃত। শ্বাপদসংকুল ঘন অরণ্য। সেই নিবিড় অরণ্যের মধ্য দিয়ে পথ চলেছেন তাঁরা। বিদ্যাপতির চোখ বাঁধা ঠিকই কিন্তু শবররাজের দৃষ্টি এড়িয়ে সে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে কিছু সরষে দানা। সেই বীজ ছড়াতে ছড়াতে চলেছে সে। কতক্ষণ এ ভাবে দুজনে চলেছে কে জানে।
এক সময় বিশ্ববসু খুলে দেয় বিদ্যাপতির চোখের বাঁধন। এ কি! এ কী দেখছে বিদ্যাপতি। এই তো সেই চতুর্ভুজ--- শঙ্খ, চক্র, গদা পদ্মধারী অনুপম মূর্তি। কী অপূর্ব রূপ তাঁর। ইনিই নীলমাধব। এই দেবমূর্তির সন্ধানেই রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের আদেশে বিদ্যাপতি ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়িয়েছে। ভগবানকে দর্শন করে তার জীবন ধন্য হল। এ বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে খবর দিতে হয়। তাঁর নির্দেশেই তো এখানে আসা। রাজাকে যে নীলমাধব দেখা দিয়েছেন। স্বপ্নে। বলেছেন, তিনি রাজার কাছে যেতে চান। চান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের ঐকান্তিক ভক্তি।
বিদ্যাপতির কাছে নীলমাধবের কথা শুনে অবন্তীনগরের রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন আর দেরি করলেন না। যাত্রা করলেন উৎকল দেশের নীল পর্বত অভিমুখে। কত গ্রাম, নগর, বন পাহাড় পেরিয়ে বিদ্যাপতির ছড়িয়ে যাওয়া সরষে বীজের থেকে নির্গত লকলকে গাছের সারি অনুসরণ করে যখন উপস্থিত হলেন গুহাকন্দরের মন্দিরদ্বারে তখন কী দেখলেন? কোথায় সে মূর্তি! রাজাকে দেখা দিলেন না নীলমাধব। এও এক লীলাখেলা তাঁর। ঈশ্বরলাভের পথ কি এতই সহজ? ইন্দ্রদ্যুম্ন শোকাহত হলেন কিন্তু আকাশবাণী হল, তুমি চিন্তা কোরো না। আমি যথাসময়ে তোমাকে দর্শন দেব।
দেবর্ষি নারদের পরামর্শে রাজা শুরু করলেন অশ্বমেধ যজ্ঞ। যজ্ঞ সমাপনান্তে একদিন স্বপ্ন দেখলেন, ক্ষীর সমুদ্র মধ্যে স্ফটিক নির্মিত শ্বেতদীপ। সেখানে শঙ্খ, চক্রাদি চিহ্নিত বহু কল্পবৃক্ষ এবং এক রত্নসিংহাসনে অধিষ্ঠিত বিষ্ণু মূর্তি।
এমন দিব্য স্বপ্ন কি মিথ্যে হয়? অনতিকাল পরেই সমুদ্রের জলে ভেসে এল এক কাষ্ঠখণ্ড। সেই কাষ্ঠখণ্ডে চিহ্নিত রয়েছে শঙ্খ, চক্রাদি চিহ্ন এবং তার দিব্য তেজ বিকীর্ণ হচ্ছে চারিদিকে। কিন্তু কে নির্মাণ করবে ভগবানের মূর্তি? কে সেই দিব্য পুরুষ?
দারুব্রহ্মকে দেবমূর্তিতে রূপ দেওয়ার জন্য এলেন এক বৃদ্ধ তিনি আর কেউ নন, নারায়ণ স্বয়ং। শর্ত রাখলেন রাজার কাছে একুশ দিন ধরে তৈরি হবে মূর্তি। কিন্তু সে সময় ঘরের দ্বার থাকবে রুদ্ধ। এর অন্যথা যেন না হয়। হলে অনর্থ হবে। রাজা জোড়হস্তে বললেন, তথাস্তু।
এক একটা করে দিন চলে যায়। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন কবে উন্মোচিত হবে দ্বার। মানুষের জীবনে ধৈর্যের থেকে বড় কিছু আর নেই। কিন্তু মানুষ প্রায়শই এই ধৈর্যেরই বাঁধ ভেঙে ফেলে। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। পনেরো দিন অতিক্রান্ত হলে কৌতূহলবশত ঘরের দরজা খুলে ফেললেন তিনি। দেখলেন অর্ধসমাপ্ত মূর্তি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার। আর সেই মূর্তি গড়ার কারিগর তিনি কোথাও নেই। ধৈর্যের অসংযম আবার হতাশা ডেকে আনল রাজার মনে। তবে কী ভগবান ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করবেন না? পুজো নেবেন না রাজার হাতে?
ভগবানের অভিপ্রায় বোঝা দায়। ভগবান এ বারে আর ভক্তকে নিরাশ করলেন না। আবার দৈববাণী হল, এই অসমাপ্ত মূর্তিতেই অধিষ্ঠিত হবেন দেবতা। হস্তপদ নেই, তবু তিনি গমন করছেন, গ্রহণ করছেন। দু’চোখ বিস্ফোরিত পল্লববিহীন, তবু তাঁর দৃষ্টি সর্বত্রব্যাপী। কর্ণ নেই, তবু জগতের কোনও শব্দই তাঁর অশ্রুত নয়। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যা ঘটে চলেছে তার কোনও কিছুই তাঁর অজ্ঞাত নয়। এই হলেন তিনি জগতের নাথ, জগন্নাথ-পরমেশ্বর। জগন্নাথস্বামী, নয়ন পথগামী।
জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে তাঁর স্নানযাত্রা উৎসব। এই দিন প্রভু স্নান করেন। শ্রীক্ষেত্রে স্নানবেদির ওপর বিগ্রহ সকলকে রোহিণী কুণ্ডের জল দ্বারা স্নান করানো হয়। তার পর ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে পক্ষকাল অবস্থান করেন বিগ্রহ সকল। এই সময় তাঁদের ‘জ্বর’ হয়। বিশ্রাম নেন জগন্নাথ। তাঁর গাত্র মার্জনা, পরিচর্যা করে তাঁকে সুস্থ করে তোলা হয়। এ বার তিনি প্রস্তুত রথযাত্রার জন্যে। আপামর ভক্ত জাতি ধর্ম নির্বিশেষে তাঁর দর্শন লাভ করবেন। এও তাঁর লীলা।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সামনে প্রশস্ত গ্র্যান্ড রোড। তিনটি রথ তৈরি হচ্ছে। মহারানারা যুগ যুগ ধরে রথ তৈরি করছেন। সেই তিনটি রথেই চড়বেন জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম। রথযাত্রা— লোকারণ্য, মস্ত ধুমধাম, কোলাহল। অসংখ্য ভক্ত। ৫০০ বছরেরও বেশি আগে এই পথেই হেঁটেছিলেন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য। নেচেছিলেন, হরিনাম করেছিলেন। মূর্চ্ছা গিয়েছিলেন। ৪৮ বছরের জীবন। যার অনেকটাই কেটেছিল জগন্নাথধামে। জগন্নাথ ও শ্রীচৈতন্য সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। পুরীতেই শ্রীচৈতন্যের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু হয়।
নভি মুম্বইয়ে খারঘরের সেক্টর তিনে বালাজি অঙ্গনে অধিষ্ঠিত রয়েছেন শ্রীশ্রীজগন্নাথদেব। ১৩ জুন অধিষ্ঠিত হয়েছে তাঁর স্নানযাত্রা। মন্দির খুলবে ২৮ জুন। ২৯ জুন রথযাত্রা। বালাজি অঙ্গন থেকে রথ বেরোবে। প্রভু মাসির বাড়ি যাবেন খারঘরের সেক্টর বারোয় শিবমন্দিরে। সেখানে নয় দিন ধরে চলবে পুজো, ভোগপ্রসাদ বিতরণ। নবম দিনে জগন্নাথদেব আবার অধিষ্ঠিত হবেন বালাজি অঙ্গনে। এই রথযাত্রার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে লোকতারণ ট্রাস্ট। এ বছর অষ্টম রথযাত্রা উৎসব। সংস্থার প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি যথাক্রমে রামপ্রসাদ মুদুলি এবং এস পটনায়ক। রথযাত্রা সংক্রান্ত খবরাখবর দিলেন সংস্থার সদস্য বিজয় মিশ্র।
খারঘরের সেক্টর পাঁচে রয়েছে আর একটি জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দিরের পাশেই গড়ে উঠেছে স্থায়ী জগন্নাথ মন্দির। এখানেও ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রথযাত্রা উৎসব। এখানকার উদ্যোক্তা মহারাষ্ট্র ওড়িয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। কথা হচ্ছিল সংস্থার সাংস্কৃতিক কমিটির সদস্য সমীর দাসের সঙ্গে। তিনি বললেন, ২৯ তারিখ সকাল দশটায় পুজোপাঠের পর সকাল সাড়ে দশটায় রথে রাখা সিংহাসনে প্রভু জগন্নাথদেব আসীন হবেন। বেলা বারোটায় শুরু হবে রথযাত্রা। প্রায় বিকেল ছটা অবধি রথের রশিতে টান দেওয়ার সুযোগ পাবেন পুণ্যার্থীরা। বিকেল ছয় ঘটিকায় রথ উপস্থিত হবে মাসির বাড়ি বা গুণ্ডিচা বাড়ি। সেক্টর পাঁচে একটি বাড়িতে করা হবে এই গুণ্ডিচা ঘর। সাত দিন পর অষ্টম দিনে প্রভু পূর্বের মন্দিরে ফিরে আসবেন। সেই রাতে তাঁর স্বর্ণবেশ হবে। নবম দিনে মন্দিরে প্রবেশ করবেন জগন্নাথজি। রথযাত্রা উপলক্ষে দশ দিন ধরে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সন্ধে সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা অবধি হবে বিশেষ যাগযজ্ঞ। রাত ন’টায় থাকবে মহাপ্রসাদ বা ভাণ্ডারা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ওড়িশা থেকে প্রায় পঁয়ত্রিশ জনের দল আসছে।
এ বারে রথযাত্রা পড়েছে রবিবারে। অফিস কাছারি, স্কুল, কলেজ ছুটি। কাজেই রথের রশিতে টান দেওয়ার ইচ্ছেটা কার্যে পরিণত করাই যায়। জয় জগন্নাথের কৃপা লাভ করা, সে যে ভাগ্যের কথা।
রথের রশির টানে টানে বৃষ্টি আসবে না, তা হয় না। তখন যে ভরা আষাঢ়। আর এই মুম্বইয়ে বৃষ্টিরা আসবে সঙ্গে নিয়ে আরব সাগরের লোনা হাওয়া। ‘লোনা হাওয়া’ নামটি ভারী মিষ্টি না’? আর এই নামটি যদি কোনও পত্রিকার হয়! সাগরপারে বসত, তাই পত্রিকার নাম ‘লোনা হাওয়া’ হতেই পারে। আর হতেই পারে বলছি কেন, হয়েছে তো। ‘লোনা হাওয়া’ আমরা হাতে পাচ্ছি গত বছর থেকে। বাংলা নববর্ষ ১৪২০-তে এর প্রথম প্রকাশ। ভাসির নবি মুম্বাই বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে এই পত্রিকা প্রকাশ। পত্রিকাটি ষাণ্মাসিক অর্থাৎ বছরে দু’বার প্রকাশিত হচ্ছে। বাংলা নববর্ষ এবং শারদীয়া সংখ্যা। দেখতে দেখতে পত্রিকাটির লেখার মান, প্রচ্ছদ এবং অলঙ্করণ উন্নত এবং মনোগ্রাহী। লেখার ক্ষেত্রে পত্রিকাটিতে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ যেমন সম্পাদকীয়, নিবন্ধ, কবিতা, ব্যক্তিগত গদ্য, ছড়া, গল্প, ভ্রমণ, স্মৃতিচারণ, নাটক প্রভৃতি। প্রতিটি লেখাই সমৃদ্ধ বাংলা সাহিত্যের প্রতি ভালবাসা ও নিষ্ঠায়, যেটি এই প্রবাসে মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বাস করেও সন্তর্পণে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। পত্রিকায় প্রবীণ এবং নবীন লেখক উভয়েরই সমাহার। লেখকদের মধ্যে অনেকেই স্ব স্ব কর্মজগতে অভিনিবেশের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চায় উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে নিজ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। আলাদা ভাবে কারও নাম করতে গেলে মনে হবে কাকে ছেড়ে কার কথা লিখি। তার থেকে ভাল পাঠকের ওপরই এই ভার ছেড়ে দেওয়া। তাঁরাই বরং লেখকদের সাহিত্যসৃষ্টির গুণমান নির্ধারণ করতে পারবেন।
তবে হ্যাঁ, পত্রিকার সম্পাদক বা উপদেষ্টা মণ্ডলীর নাম জানিয়ে দিই। পত্রিকার সম্পাদনার কর্তব্যটি সুচারু ভাবে পালন করছেন বিশিষ্ট নাট্যকার ও কথাসাহিত্যিক তুফান মুনসী। সহ-সম্পাদক গোরা চক্রবর্তী ও শবরী রায়। পত্রিকার উপদেষ্টামণ্ডলীতে আছেন সুকান্ত নাগ, বিভাস মাইতি ও প্রফুল্ল দেবনাথ।
‘লোনা হাওয়া’ নবি মুম্বই বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন-এর মুখপত্র হলেও এর প্রধান দায়িত্ব প্রবাসে বাংলা ভাষা চর্চার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং বাংলা ভাষা পড়তে ও লিখতে মানুষকে উৎসাহিত করা। সাহিত্যের গুণগত মানের নিরিখে ধীরে ধীরে ‘লোনা হাওয়া’র পরবর্তী সংখ্যাগুলি আশা করা যায় আরও উন্নত হবে। এ বিষয়ে কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন পত্রিকার সম্পাদক। কিছু বিষয় সংযোজিত হবে। ‘জানা অজানা’ একটি বিভাগ রাখা হবে যাতে সাধারণ জ্ঞান ও বিভিন্ন ঘটনাবলি সম্পর্কিত তথ্য থাকবে। রাখা হবে ‘খেলাধুলা’ সংক্রান্ত বিভাগ। বিশ্বকাপ ফুটবল ও ভারতে আয়োজিত বিভিন্ন ক্রীড়া বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। থাকবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার। একটি বিভাগ রাখা হবে বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ গল্পের জন্য। থাকবে ‘স্মৃতিচারণ’ ও ‘পাঠ প্রতিক্রিয়া’। আর একটি বিশেষ বিভাগ শুরু হবে ‘পুরাতন সাহিত্য’ নামে। বিভিন্ন বিখ্যাত বাঙালি লেখকের লেখা এখানে পুনঃপ্রকাশিত হবে, অবশ্যই যে সব সাহিত্য কপিরাইটারের জটিলতামুক্ত। তা হলে বর্তমান প্রজন্ম বাংলা সাহিত্যের সম্পদ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারবে।
আমাদের এই প্রবাসে দিনযাপন জীবন ও জীবিকার তাগিদে। গতানুগতিক প্রাত্যহিক জীবন এখানে সদাব্যস্ত, কর্মচঞ্চল জীবনের জটিল আবর্তে আমাদের মনটা সদাই কোনও খড়কুটো আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। লেখালেখি, গানবাজনা, শিল্পকলা এ সবই আমাদের মনটাকে বাঁচিয়ে রাখে। মনের যদি মৃত্যু হয়, তা হলে তো আমরা যন্ত্র। বাহ্যিক চাহিদা পূরণের উপকরণ আমাদের চারপাশে ছড়ানো কিন্তু অন্তরের চাহিদা সে চাহিদা পূরণের উপকরণ তো অত সহজলভ্য নয়। ‘লোনা হাওয়া’ তেমনই এক পত্রিকা যা মনের চাহিদা পূরণ করে। ভাসির নভি মুম্বাই বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন-এর এই উদ্যোগ ‘লোনা হাওয়া’কে পূর্ণ সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাক।
রথযাত্রার প্রাক্কালে সকলের মঙ্গল কামনায় উদাত্ত কণ্ঠে বলি ‘জয় জগন্নাথ’।