কালো টাকা নিয়ে তদন্ত গোটাতে হবে মার্চের মধ্যেই। বুধবার কেন্দ্রকে এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিদেশে কালো টাকা রাখার অভিযোগে এই মুহূর্তে আয়কর সংক্রান্ত তদন্ত চলছে ৬২৭ জন ভারতীয়ের বিরুদ্ধে। ২৯ অক্টোবর কেন্দ্রই এই সন্দেহভাজনের তালিকা আদালতের হাতে তুলে দেয়। জেনিভার এইচএসবিসি ব্যাঙ্কে এঁদের অ্যাকাউন্ট আছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট দফতরের। সেই তদন্ত যে ভাবেই হোক ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার কথা জানিয়েছে আদালত। তবে অনিবার্য কোনও কারণে নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ না হলে, মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে মুখ্য বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর বিশেষ বেঞ্চ।
পাশাপাশি, আবেদনের ভিত্তিতে কালো টাকা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আবেদনকারীর হাতে অবিকৃত অবস্থায় তুলে দেওয়ার নির্দেশও এ দিন দেওয়া হয়েছে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল)-কে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই কালো টাকায় বিশেষ তদন্ত চালাচ্ছে সিট।
বিরোধী পক্ষের প্রবীণ আইনজীবী রাম জেঠমলানীর সওয়ালের ভিত্তিতেই সিটকে আদালতের এই বিশেষ নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। জেঠমলানী সম্প্রতি অভিযোগ করেন, তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের সলিসিটর জেনারেল কালো টাকা সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছিলেন, তার কিছু অংশ কালো কালিতে ঢাকা ছিল। পরোক্ষে এই অভিযোগ মানলেও, রিপোর্টের কিছু অংশ কেন বিকৃত করা হয়েছিল, তা নিয়ে আজ কোনও মন্তব্য করেননি অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি।
বিতর্কের শেষ অবশ্য এখানেই নয়। বিদেশে কালো টাকা আছে, এমন আরও কিছু ভারতীয়ের নাম প্রকাশের দাবি করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।
শীর্ষ আদালতে কালো টাকা সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে আগামী ২০ জানুয়ারি। আবেদন মোতাবেক সে দিন জেঠমলানী সিটের মুখোমুখি হতে পারবেন বলেও জানিয়েছে আদালত।
অভিযুক্তদের কর ফাঁকি সংক্রান্ত প্রমাণ দিলে, কালো টাকার তদন্তে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডও।