মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনার জোটে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) স্থান নেই বলে জানিয়ে দিল শিবসেনা। গত কাল এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী। বৈঠকের পরে তিনি জানান, এমএনএসকে লোকসভা ভোটে না লড়তে অনুরোধ করেছেন তিনি। তার পরেই ফের মহারাষ্ট্রে বিজেপি- শিবসেনা-এমএনএস মহাজোট নিয়ে জল্পনা ফের তুঙ্গে উঠেছে।
২০০৬ সালে শিবসেনা ছেড়ে নতুন দল গড়েন বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো রাজ। শিবসেনার মরাঠি ভাবাবেগের রাজনীতিকেই পুঁজি করে এগিয়েছেন তিনিও। শিবসেনা-বিজেপি জোটের হিসেব অনুযায়ী, গত লোকসভা ভোটে মুম্বইয়ের সাতটি আসনে রাজ ভোট কাটায় হেরে গিয়েছে তারা। আবার ২০০৯ সালের বিধানসভা ভোটেও বিজেপি-শিবসেনার অঙ্ক রাজই বানচাল করেছিলেন বলে মনে করেন বিজেপি-সেনা নেতৃত্ব। আগামী লোকসভা ভোটে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সঙ্গে রাজের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রধান দেবেন্দ্র ফড়নবিসের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই শিবসেনা, বিজেপি ও এমএনএসকে এক মঞ্চে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও শিবসেনা রাজি হয়নি।
দলীয় সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে নতুন কৌশল নিয়েছে বিজেপি। গত কাল মোদী-সহ শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই মুম্বইয়ের একটি পাঁচ তারা হোটেলে রাজের সঙ্গে বৈঠক করেন গডকড়ী। বৈঠকের পরে তিনি প্রকাশ্যেই বলেন, “আমি রাজকে লোকসভা ভোটে না লড়তে অনুরোধ করেছি। কারণ, তাতে কংগ্রেস-বিরোধী ভোট ভাগ হবে। ভোটে লড়লেও এমএনএসের খুব কম আসনে প্রার্থী দেওয়া উচিত।”
অক্টোবরে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট। দলীয় সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটে না লড়ে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা জোটের সঙ্গে এক মঞ্চে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজকে। বিষয়টি নিয়ে আজ চড়া সুরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিবসেনা। শীর্ষ নেতা উদ্ধব ঠাকরে থেকে মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত, এমএনএসের সঙ্গে হাত মেলানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সেনার সকলেই। বিজেপি নেতারা অবশ্য জানিয়েছেন, শিবসেনার অসন্তোষের কথা তাঁদের জানা নেই। তবে রাজনৈতিক শিবিরের মতে, মুখে যা-ই বলুক, এমএনএস ভোটে না লড়লে খুশি হবে শিবসেনা। জোট নিয়ে বল এখন রাজের কোর্টে। এখনও কিছুু বলেননি তিনি। দল জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র ও মরাঠি মানুষের স্বার্থ মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।