রবার স্ট্যাম্প নই, বললেন জিতনরাম

শপথ নিয়েই বিজেপির কটাক্ষের জবাব দিলেন বিহারের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁজি। বিহারের দলিত সম্প্রদায়েরও একেবারে নীচের তলার, মুষাহার জনজাতির মানুষটিকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নীতীশ কুমার বেছে নিতেই আক্রমণে নামেন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৪ ০৩:১৫
Share:

শপথ নিয়েই বিজেপির কটাক্ষের জবাব দিলেন বিহারের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁজি। বিহারের দলিত সম্প্রদায়েরও একেবারে নীচের তলার, মুষাহার জনজাতির মানুষটিকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নীতীশ কুমার বেছে নিতেই আক্রমণে নামেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের নেতা সুশীল মোদী বলেন, “রিমোট কন্ট্রোলে নীতীশই জিতনরামকে চালাবেন।” রাজভবনে শপথের পর জিতমরাম বলেন, “আমি কিন্তু রবার স্ট্যাম্প মুখ্যমন্ত্রী নই।” যদিও বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, এটাও নাকি নীতীশই শিখিয়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদী-নীতীশ দ্বৈরথই জিইয়ে রাখতে চাইছে বিহার বিজেপি।

Advertisement

স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন বিজেপির দুই বিধায়ক দ্বারভাঙার বিজয়কুমার মিশ্র এবং সমস্তিপুরের রানা গঙ্গেশ্বর সিংহ। দু’জনেই নীতীশ-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নীতীশ এক সময়ে দাবি করেন, রাজ্যে জোট থাকাকালীন বিধানসভা নির্বাচনে কিছু কিছু এলাকায় বিজেপির যোগ্য প্রার্থী না থাকায় সেখানে তিনিই প্রার্থী সরবরাহ করেছিলেন। বিজয়-গঙ্গেশ্বর তেমনই দুই বিধায়ক। তাঁদের ইস্তফার জেরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, “নীতীশ কুমার নৈতিকতার রাজনীতির কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে বিরোধী শিবির ভেঙে বিধায়কদের নিজের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার খেলা শুরু করেছেন।” জেডিইউয়ের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের দিক থেকে নজর ঘোরাতেই নীতীশ এই খেলায় নেমেছেন বলে দাবি। আরজেডি-র তিন বিধায়কও স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে জানিয়ে দেন, জেডিইউয়ে যোগ দিয়ে নীতীশের হাত শক্ত করতেই এই পদক্ষেপ করেছেন। উপনির্বাচনে তাঁরা জেডিইউয়ের টিকিটে জিতে এসে নীতীশের পাশে থাকবেন।

তবে নীতীশ বিজেপি-র কোনও আক্রমণকেই গুরুত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজভবনে জিতনরাম মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি হাজির থাকলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে গিয়েছেন। জানিয়েছেন, যা বলার মুখ্যমন্ত্রীই বলবেন। আজ সকালেই কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে জিতনরাম সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা লিখিত ভাবে জানিয়ে আসেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement