তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলেই সম্ভবত লাইন বেঁকে গিয়ে হাওড়াগামী দুন এক্সপ্রেস ও অজমেঢ়-পুরী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। রেলকর্তাদের সেটাই আশঙ্কা।
উত্তর রেল সূত্রে খবর, হাওড়া আসার পথে সোমবার দুপুরে দুন এক্সপ্রেসের ৮টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে ৬টি সংরক্ষিত কামরা ও বাকি দু’টি লাগেজ ভ্যান। দুর্ঘটনায় জনা দশেক যাত্রী আহত হয়েছেন। চার জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁদের আঘাত তেমন গুরুতর নয়। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর রেলের সালকিয়া-সাহাগঞ্জ-ফৈজাবাদ শাখার জাফরগঞ্জ স্টেশনের কাছে। এর ফলে অনেক এক্সপ্রেস ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো ও কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব উপকূল রেল সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ সম্বলপুর-অনগুলের মধ্যে অজমেঢ়-পুরী এক্সপ্রেসেরও দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। সেই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ওই শাখায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। বেশ কয়েকটি ট্রেনকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
দু’টি দুর্ঘটনাই ঘটেছে ভর দুপুরে। এ দিন লখনউ ও ভুবনেশ্বরের আশপাশে দুপুরের দিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি উঠেছিল। এর প্রভাব রেললাইনের ইস্পাতের উপর পড়তেই পারে। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে লাইন বেঁকে যায়, যাকে বলা হয় বাকলিং। এই বাকলিংকেই দু’টি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছেন রেলকর্তারা।
তবে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে গ্রীষ্মকালে রেললাইনের ‘ডিট্রেসিং’ করা হয়। দেখে নেওয়া হয়, দু’টি লাইনের জোড়ার মাঝখানে ফাঁক ঠিক আছে কি না। দুর্ঘটনার পরে রেলের কর্তাদেরই একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, রেললাইন পরীক্ষার সেই কাজ ঠিক মতো হচ্ছে তো?