সংঘর্ষ-বিরতি ভেঙে ফের পাক হানা, নিহত ৫

বছরের শেষ দিনটাও শান্তিপূর্ণ থাকল না ভারত-পাক সীমান্ত। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার সংঘর্ষ-বিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তানের রেঞ্জার্স বাহিনী। পাল্টা গুলি চালিয়ে কড়া প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনাও। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক ভারতীয় জওয়ান ও চার পাক রেঞ্জার্সের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০১
Share:

বছরের শেষ দিনটাও শান্তিপূর্ণ থাকল না ভারত-পাক সীমান্ত। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার সংঘর্ষ-বিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তানের রেঞ্জার্স বাহিনী। পাল্টা গুলি চালিয়ে কড়া প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনাও। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক ভারতীয় জওয়ান ও চার পাক রেঞ্জার্সের। এই ঘটনায় পাকিস্তান পাল্টা দুষেছে ভারতকে। ডেকে পাঠিয়েছে ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনারকে।

Advertisement

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জম্মু ফ্রন্টিয়ারের আই জি রাকেশ শর্মা জানান, আজ সকালে সাম্বা সেক্টরের সুচতেগড় বেল্টে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর রুটিন টহল দিচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল। আচমকাই ও-পার থেকে গুলি ছুটে আসে। গত কালও সংঘর্ষ-বিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। গত এক সপ্তাহে এ নিয়ে ষষ্ঠ বার হামলা চালল পাকিস্তান। তবে কোনও জওয়ানের মৃত্যুর খবর মেলেনি। আজ সকালে পাক রেঞ্জার্সদের আচমকা আক্রমণে প্রথমে মৃত্যু হয় ভারতীয় জওয়ান শ্রীরাম গৌরিয়ার। অন্য জওয়ানের চোট লাগলেও আঘাত তত গুরুতর নয় বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।

হামলার খবর পেয়ে রাকেশ শর্মা ঘটনাস্থলে ছোটেন। বিএসএফের ডিজি ডি কে পাঠক ঘটনাটি জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই হামলার কড়া জবাবের নির্দেশ দেন। তার পর প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় বাহিনীও। আজ বিকেলে ভারতীয় সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় চার পাক রেঞ্জার্সের। রাকেশ শর্মা জানান, ও-পারে রেঞ্জার্সদের মৃত্যুর পরে সাদা পতাকা দেখায় পাক সেনা। সঙ্কেত দেখে গুলি চালানো থামায় ভারতীয় বাহিনী। রাকেশের কথায়, “সীমান্তের গা ঘেঁষে যে সেনাদের দেহগুলি পড়েছিল, সেগুলি তোলার জন্য সঙ্কেত দেয় পাক রেঞ্জার্সরা। আমরা ওদের সঙ্কেতকে সম্মান করে গুলি চালানো বন্ধ করি।” সীমান্তের ও-পার থেকে গুলি এলে জবাব দেওয়ার কথা গত কালই জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহক পর্রীকর। কাল পাল্লানওয়ালা সেক্টরে পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর হামলায় জখম হন এক ভারতীয় সেনা। তার পরই পর্রীকর সাংবাদিকদের জানান, “আমাদের তরফ থেকে ২০০৩ সালের ওই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করা হয় না। কিন্তু ও পার থেকে যদি বিনা প্ররোচনায় গুলি আসে, তা হলে তার দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে জবাব দিতে হবে। মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই নেই।”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন