ধর্মান্তরণ বিতর্কে ইতি টানার চেষ্টা করে এ বার সংখ্যালঘুদের মন জয়ের চেষ্টায় নামল কেন্দ্র।
বিজেপি ও সঙ্ঘের একাংশের হিন্দুত্ব ঘেঁষা মন্তব্য নিয়ে সংসদের গত অধিবেশন অচল হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন বার্তা দিতে চান, যে তিনি সংখ্যালঘু-বিরোধী নন। তাঁর সরকার সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্যও সক্রিয়। মোদীর বার্তা হল, সংখ্যালঘুদের মধ্যে একটি খুব ছোট অংশ মৌলবাদী। আধুনিকমনস্ক সংখ্যালঘুদের উচিত ওই অংশের বিরুদ্ধে সরব হওয়া। এই সূত্র ধরেই আজ সঙ্ঘের মুখপত্র আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর বলেন, “সংখ্যালঘুদের মধ্যে কিছু অশুভ শক্তি রয়েছে। কিছু আঞ্চলিক দল ওই শক্তিগুলিকে তুলে ধরছে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যালঘুরা নীরব। তাঁদের উচিত, নিজেদের মত প্রকাশ করা।”
কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভিকে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলি সফর করে তাঁদের মন জয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। এই দফতরের মন্ত্রী নাজমা হেপতুল্লাকেও প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও তাঁদের মূল স্রোতে আনার রূপরেখা চূড়ান্ত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্যবর্ধন রাঠৌর কেন্দ্রে রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও তিনি সরকারে মোদীর সেনাপতি অরুণ জেটলির অধীনে কাজ করেন। সঙ্ঘের মঞ্চে কী বলা হবে, সেই বিষয়েও তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আগাম আলোচনা করে নেন। ওই একই মঞ্চে যখন সঙ্ঘের অন্য নেতারা যখন মোদীকে হিন্দু স্বার্থ রক্ষার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, তখন সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কিন্তু সংযত থেকে ভিন্ন অবস্থানই নিলেন রাঠৌর। যুবকদের মধ্যে আশার সঞ্চারের কথা বললেন, যে কথা লোকসভা ভোটের প্রচার থেকেই বলে আসছেন মোদী।
সঙ্ঘ পরিবারের হিন্দুত্ব প্রচার নিয়ে সমস্যা চান না মোদী। সেই বিষয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে। তার পরে ‘ধর্মান্তরিত’ হিন্দুদের ঘরে ফেরানোর অভিযান আপাতত বন্ধ রেখেছে সঙ্ঘ। বিতর্কিত মন্তব্য করায় বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজকে নোটিস দিয়েছেন দলীয় সভাপতি অমিত শাহ।