বিধানসভায় দলের হুইপ অমান্য করে তিনি আইন ভেঙেছেন, এই কথা জানিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা মুষাহার নেতা জিতনরাম মাঁঝিকে চিঠি ধরাল জেডিইউ। বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক শ্রবণ কুমার গত কালই মাঁঝিকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন, কেন তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য স্পিকারকে দলের পক্ষে চিঠি দেওয়া হবে না।
গত কাল নীতীশ সরকারের আস্থা ভোটে জিতনরাম উপস্থিত না থাকায় তাঁকে নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। চিঠি পেয়েই জিতনরাম দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন। আজ তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কাল সকাল ১০ টায় দিল্লিতে মাঁঝি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন। ব্যাখ্যা করবেন তাঁর অবস্থান।
তবে মাঁঝি অনুপস্থিত থাকলেও গত কাল নিজেদের বিধায়ক পদ বাঁচাতে তাঁর শিবিরের সব বিধায়কই জেডিইউয়ের হুইপ মেনে নীতীশকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রথমে ধ্বনি ভোটে আস্থা প্রস্তাব অনুমোদিত হলেও সমস্ত বিষয়টি রেকর্ড করাতে জেডিইউয়ের এক বিধায়ক ডিভিশন ভোট চান। উদ্দেশ্য ছিল, বিদ্রোহী সদস্যদের চিহ্নিত করা। শেষ পর্যন্ত ডিভিশন ভোটে স্বাক্ষর করিয়ে ভোট নেওয়া হয়। তাতে ১৪০-০ ভোটে নীতীশ কুমার আস্থা ভোটে জয়লাভ করেন। কারণ বিরোধী দল, বিজেপি ভোটে অংশ নেয়নি।
বিধানসভার সচিব হরেরাম মুখিয়া আজ আইনি পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, “জিতনরাম মাঁঝি দলের হুইপ না মেনে আইন ভেঙেছেন। জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তিনি দলহীন সদস্য হলেও, জেডিইউয়ের প্রতীকেই তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। ফলে দলের জারি করা হুইপ তাঁর ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।” তবে তিনি জানান, “এ বিষয়ে যতক্ষণ না জেডিইউ অভিযোগ দায়ের করছে, আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। আদালতে মামলা না এলে তো বিচারক বিচার করতে পারেন না।” স্পিকারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে কিনা সে সম্পর্কে দলের মুখ্য সচেতক বলেন, “এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নীতীশ কুমারই নেবেন।”