ধাপে ধাপে সরিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের এখন বন্ধনমুক্তির পর্ব। ১৬ মে ফল ঘোষণার পরে এক দিনের জন্যও ৭ নম্বর রেসকোর্স রোডে থাকবেন না, জানিয়েছেন আগেই। ছাড়ছেন অসমের দিসপুরে ৭ নম্বর নন্দন নগরে ভাড়া নিয়ে রাখা ফ্ল্যাটও। তাঁর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দিল্লিতে তিন নম্বর মতিলাল নেহরু মার্গের সরকারি বাংলোটি। তবে বাসা বদল বা ভোটের ফল ঘোষণার অনেক আগেই যোজনা কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিদায় নিতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সচিবালয় সূত্রে বলা হচ্ছে, সম্ভবত ৩০ এপ্রিলই যোজনা কমিশনের প্রধানের পদ থেকে বিদায় নেবেন তিনি। যাকে বলা যেতে পারে সাউথ ব্লক থেকে নিজেকে সরানোর আনুষ্ঠানিক শুরু।
এর পরে মে মাসের গোড়ায় তিন বাহিনীর প্রধানকে নৈশভোজে নিমন্ত্রণ জানাবেন মনমোহন। একই ভাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতি এবং সরকারের সচিব স্তরে আমলাদেরও একে একে নৈশভোজে নিমন্ত্রণ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। সব শেষে সম্ভবত ভোটের ফল ঘোষণার আগের দিন মন্ত্রিসভায় তাঁর সতীর্থদের নৈশভোজে ডাকবেন ৭ নম্বর রেসকোর্স রোডের বাড়িতে।
যোজনা কমিশনের সঙ্গে মনমোহনের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। এক সময় তার উপাধ্যক্ষও ছিলেন তার। সাউথ ব্লক সূত্রে বলা হচ্ছে, ৩০ এপ্রিল মনমোহন যোজনা ভবনে যাবেন। যোজনা কমিশনের উপাধ্যক্ষ মনটেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া এবং কমিশনের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিদায়ী বক্তৃতাও দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত তাঁদের এ-ও আর্জি জানাবেন, নতুন সরকার গঠন পর্যন্ত যেন কমিশনের সদস্যরা অপেক্ষা করেন। এমনিতে যোজনা কমিশনের উপাধ্যক্ষ ও সদস্যদের কোনও সুনির্দিষ্ট মেয়াদ হয় না। সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ শেষের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।