sleep divorce

বিচ্ছেদ এড়াতে ‘স্লিপ ডিভোর্সের’ পথ বেছে নিচ্ছেন আমেরিকার দম্পতিরা, বিষয়টি ঠিক কী?

সম্পর্কের তিক্ততা এড়িয়ে চলতে ‘স্লিপ ডিভোর্সের’ পথে হাঁটছেন আমেরিকার বাসিন্দারা। ‘স্লিপ ডিভোর্স’ মানে কি? এই পথে হাঁটলে আদৌ কি সম্পর্কে সুখ আসে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ ১৬:০৭
Share:

সুখী দাম্পত্য পেতে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ কতটা কার্যকর? ছবি: শাটারস্টক

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ লোকই রাতে ঘুমোনোর সময় তাঁদের স্ত্রীর থেকে আলাদা শুতে পছন্দ করছেন। মোট ২০০০ জনকে নিয়ে প্রথমিক সমীক্ষাটি করা হয়েছে। তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। দম্পতিদের মধ্যে রাতে আলাদা ঘরে শোয়ার অভ্যাসকে বলা হয় ‘স্লিপিং ডিভোর্স’, বাংলায় ঘুমের সময় বিচ্ছেদ বললেও ভুল হবে না। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মোট ৪৫ শতাংশ পুরুষ স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা মাঝেমধ্যে বা বেশির ভাগ সময়ই রাতে অন্য ঘরের সোফায় কিংবা অতিথিদের ঘরে গিয়ে শুতে স্বচ্ছন্দবোধ করছেন। অন্য দিকে ২৫ শতাংশ মহিলারা এই কথা স্বীকার করেছেন।

Advertisement

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের গবেষকদের মত অনুযায়ী, ঘুম অসম্পূর্ণ হলে তা কেবল শরীরের ক্ষতি করে না, মন-মেজাজের উপরেও প্রভাব ফেলে। ঘুম ঠিকঠাক না হলে তর্ক-বিতর্ক বেশি হয়, ফলে সম্পর্কের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই শান্তিতে ঘুমোনোর জন্য ইদানীং অনেক দম্পতিই আলাদা শুতে পছন্দ করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সঙ্গীর নাক ডাকার প্রবণতার জন্য অপর জন আলাদা ঘরে শুতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে সঙ্গীকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য উদ্যোগী করে তোলা ভীষণ জরুরি। এই ছোট সমস্যা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো বড় সমস্যাও ডেকে আনতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সঙ্গীর নাক ডাকার প্রবণতার জন্য অপর জন আলাদা ঘরে শুতে বাধ্য হচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত।

সমাজমাধ্যমেও এখন অনেকেই ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলছেন। অনেকেই বলছেন, তাঁদের সম্পর্ক যখন তলানিতে ঠেকেছিল তখন তাঁরা ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর পথ বেছে নিয়েছিলেন। আর এই পন্থা মেনে চলার পর তাঁদের সম্পর্কের ভীত মজবুত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement