পালংশাকের সুস্বাদু রেসিপি। ছবি: সংগৃহীত।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, বিট, মুলো, গাজর, শালগম, কড়াইশুঁটি, শিম, বেগুন, পালংশাক, সর্ষেশাক— শীতের বাজার মানেই রংবেরঙের সব্জির প্রাচুর্য। তারই মধ্যে আয়রন, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর পালংশাকের স্বাস্থ্যগুণের জুড়ি মেলা ভার। রক্তাল্পতা দূর করে, হাড় ও দাঁত মজবুত করে, চোখ ভাল রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, ক্যানসার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
কিন্তু শাকপাতা দেখলেই নাক সিঁটকায় বাড়ির ছোটরা। তাঁদের শরীরে পালংশাকের পুষ্টিগুণ পৌঁছোনোর জন্য বিশেষ কৌশল প্রয়োগ করতে পারেন। এই পালংশাক দিয়েই তৈরি হতে পারে সুস্বাদু কিছু পদ। তারই একটি তালিকা দেওয়া হল নীচে। সন্তানের পছন্দমতো বানিয়ে দিতে পারেন কোনও একটি।
পালংশাক দিয়ে বানিয়ে নিন সুস্বাদু পদ। ছবি: সংগৃহীত।
পালংশাক দিয়ে তৈরি ৫টি সুস্বাদু পদ
পালংশাকের পরোটা: পালংশাক বেটে ময়দা বা আটার সঙ্গে মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করে নিন। তার পর লেচি বেলে নিয়ে তাওয়ায় হালকা তেল দিয়ে ভেজে নিন। শীতকালীন সকালে দই বা আচারের সঙ্গে গরম গরম পরোটা খেতে ভাল লাগবে।
পালংশাকের পকোড়া: পালংশাকের পাতা নিয়ে বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিন। যত ক্ষণ না সোনালি ও মুচমুচে হয়, তত ক্ষণ ভাজতে হবে। বেসনের মিশ্রণকে আরও স্বাস্থ্যকর তৈরি করতে সঙ্গে হলুদ, লঙ্কা আর জোয়ান দিতে পারেন। চা বা চাটনির সঙ্গে পকোড়া খেতে মন্দ লাগে না।
পালং রাইস: বাসমতি চাল, পেঁয়াজ এবং কিছু মশলা দিয়ে ভাত ভাজার মতো রান্না করে নিতে পারেন। তার মধ্যেই পালংশাক মিশিয়ে দিতে হবে। মাখন দিয়ে এই রাইস খেতে পছন্দ করবে শিশুরা। গরম ভাতের গন্ধ ও পালংশাকের স্বাদ শীতের দুপুর বা রাতের খাবারকে বৈচিত্রময় করে তুলবে।
পালং পনির: পালংশাক ও পনির দিয়ে তৈরি এই পদ শীতের জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর খাবার। পালংশাক বেটে, পেঁয়াজ-টম্যাটো ভাজা মশলায় মিশিয়ে পনিরের টুকরোগুলি যোগ করে কিছু ক্ষণ রান্না করুন। গরম গরম রুটির সঙ্গে পরিবেশন করলে তৃপ্তি করে খাবে বাড়ির ছোটরা।
পালং অমলেট: তেলে রসুনকুচি ফোড়ন দিয়ে পালংশাক হালকা ভেজে নিন। অন্য পাত্রে ডিম আর দুধ ফেটিয়ে অমলেট বানিয়ে নিন। অমলেটের মাঝে ভাজা পালংয়ের পুর দিয়ে ভাঁজ করে খেতে দিন শিশুকে। চিজ়ও দিয়ে দিতে পারেন মাঝখানে।