ছবি : ফ্রিপিক।
বাজার থেকে তরমুজ কিনে বাড়ি ফিরলেন। কিন্তু কেটে খেতে গিয়ে হতাশ হলেন। প্রবল তাপে যে রসালো মিষ্টি ফল খেয়ে প্রাণ জুরোবেন ভেবেছিলেন, তাতে ফ্যাকাশে ভাব! রঙে তো বটেই, স্বাদেও। ফলের বাজার থেকে ফিরে এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়। বিশেষ করে যাঁরা ফল কেটে আনতে পছন্দ করেন না। বা বাজারে ফল কেটে দেখা পছন্দ করেন না, অভিজ্ঞ চোখ না থাকলে তাঁদের এমন সমস্যা হতেই পারে। আবার দেখ শুনে টুকটুকে লাল তরমুজ কিনেও মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায় না অনেক সময়।
তা হলে উপায় কী? কী দেখলে বুঝবেন তরমুজ ভাল এবং স্বাদু! সাধারণত ভাল ভাবে পেকে যাওয়া তরমুজে রসালো ভাব থাকে বেশি। তা খেতেও সুস্বাদু হয়। ৫টি বিষয় খেয়াল রাখলে অভিজ্ঞদের মতোই আপনিও বাইরে থেকে দেখেই তরমুজের ভাল-মন্দ বুঝতে পারবেন। কেটে দেখার প্রয়োজন হবে না।
ছবি : ফ্রিপিক।
১। ওজনে ভারী?
তরমুজ কতটা ভারী দেখুন। যদি সমান মাপের দু’টি তরমুজের মধ্যে একটি ভারী আর একটি হালকা হয় তবে বুঝতে হবে ভারী তরমুজটি বেশি পরিপক্ক। তাতে জলের ভাগ বেশি বলই ওজন বেশি। এই তরমুজ মিষ্টি এবং রসালোও হবে।
২। শব্দ কেমন?
তরমুজের গায়ে চাপড় দিয়ে দেখুন। যদি ফাঁপা শব্দ আসে তবে বুঝতে হবে তরমুজ পাকা। তা অনেক বেশি রসালো। যদি তা না হয় তবে বুঝতে হবে তরমুজ পাকেনি। তাতে স্বাদ ভাল হবে না।
৩। তরমুজের খোলা
তরমুজের খোলা ভাল করে পরখ করুন। যদি সবুজ রং অনেক বেশি গাঢ় হয়, আর খসখসে লাগে, তবে বুঝতে হবে ফল ভাল ভাবে পেকেছে। যদি খোলা চকচকে হয় এবং হালকা সবুজ ভাব থাকে তবে তা না কেনাই ভাল।
—ফাইল চিত্র।
৪। দাগ, গর্ত দেখে নিন
তরমুজের খোলায় যদি কোনও ছোট গর্ত থাকে বা কোনও অদ্ভুত দাগ থাকে, তবে তা না নেওয়াই ভাল। হতে পারে পোকামাকড় ভিতরে ঢোকার সময়ে ওই দাগ ছেড়ে গিয়েছে। কিংবা গর্ত করে ভিতরে ঢুকেছে। এ ছাড়া ফলের গায়ে কাটা দাগ কোনও অস্বাভাবিক দাগ দেখলেও সেই তরমুজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
৫। কাটা ফল
বহু ব্যবসায়ীই বড় তরমুজ কেটে বিক্রি করেন। ওই ধরনের কাটা তরমুজ না নেওয়াই ভাল। যেহেতু খোলা জায়গায় রাখা থাকে তাই কাটা ফলে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। তাই গোটা ফল নেওয়ার চেষ্টা করুন।