ছবি : সংগৃহীত।
সফল হওয়া সোজা কথা নয়। তবে তার চেয়েও কঠিন হল সেই সাফল্যকে ধরে রাখা। গুণীজনেরা বলেন, সাফল্যের প্রথম ধাপ অনুপ্রেরণা হলেও সাফল্যে টিকে থাকার জন্য শৃঙ্খলা প্রয়োজন। কিন্তু সুশৃঙ্খল হতে বলা যত সহজ, কাজে করা ততটাই কঠিন। নিজেকে শাসন করে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার জন্য দরকার দীর্ঘ অভ্যাস নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধে জেতার কিছু রণকৌশল।
১। লক্ষ্য
কী চাইছেন সেই লক্ষ্য সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারণা থাকা দরকার। তাই আগে লক্ষ্যস্থির করুন। সেখানে যেন কোনও ধোঁয়াশা না থাকে। কোথায় যেতে হবে সেটাই যদি না জানেন, তবে রাস্তা বাছবেন কী করে? লক্ষ্যে এগিয়েই বা যাবেন কী করে।
২। রুটিন
ধারাবাহিকতা না থাকলে সাফল্যকে ছোঁয়া মুশকিল। তাই নিজের জন্য একটি রুটিন বানান। নিজের সময় বুঝে এবং নিজের সব কাজের জন্য জরুরি সময় বিচার করেই বানাতে হবে ওই রুটিন। কিন্তু তার পরে রুটিনের নড়চড় করা যাবে না। রুটিন মানতেই হবে।
৩। গুরুত্ব বুঝে কাজ
দিনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি, দিনের শুরুতে সামলান। দরকার হলে কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী একটি তালিকা বানান। সেই তালিকা মিলিয়ে একে একে কাজ শেষ করুন। কোনও রকম মনোযোগের সমস্যা কাজের মাঝে আসতে দেবেন না।
৪। বড় কাজ ভেঙে নিন
বড় কাজ দেখে পিছিয়ে না এসে সেগুলিকে ছোট ছোট ধাপে ভাগ করে নিন। এতে প্রতিটি ধাপে ছোট ছোট লক্ষ্যপূরণের আনন্দও পাবেন।
৫। সমস্যা কোথায় চিনুন
কোনও কাজ করতে গেলে বাধা আসে কোন কোন জায়গা থেকে। এক এক করে লিখে ফেলুন কাগজে। কর্মক্ষেত্রে পাশের মানুষটি কি খুব বেশি গল্প করেন। মোবাইলে কি বার বার মেসেজ আসতে থাকে? চারপাশে শোরগোল হয় কি! তবে এই সমস্যাগুলো মেটানো যায় কী ভাবে তা আগে ভাবুন।
৬। টাইম ব্লক
কাজের সময়কে ছোট ছোট ভাগে ভেঙে নিন। হয়তো এক একটি আধ ঘণ্টার ব্লক বানালেন কিংবা এক ঘণ্টার। এই সময়টুকু টানা কাজ করবেন। তার পরে ৫ মিনিটের জন্য উঠবেন। আবার টানা কাজ করবেন আবার ৫ মিনিটের জন্য উঠবেন। এ ব্যাপারে পোমোডোরো টেকনিক মেনে চলতে পারেন, যা অত্যন্ত কার্যকরী বলে প্রমাণিত। কিন্তু যে টাইম ব্লকটি ঠিক করছেন সেটি মেনে চলতে হবে।
৭। নিজেকে পুরস্কার
লক্ষ্য স্থির করার আগে নিজের জন্য একটি করে পুরস্কারও ঠিক করে ফেলুন। লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে নিজেকে পুরস্কৃত করুন। তাতে পরবর্তী কাজের জন্য অনুপ্রেরণাও পাবেন।