Books

হাজার হাজার বইয়ে ঢেকে গিয়েছে রাজপথ, কেন?

দূষণের চাদরে ঢেকে গিয়েছে গোটা পৃথিবী। অতিরিক্ত দূষণে যে জীবন সঙ্কটময়, সম্প্রতি তার টুকরো ছবি দেখা গিয়েছে দিল্লিতে। দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়েছে দিল্লির রাজপথ। মাস্ক পরে বেরলেও নিস্তার নেই। চোখ জ্বালা করেছে। স্কুল-অফিস প্রায় বন্ধ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ১৪:১৮
Share:

বইয়ে ঢাকা হ্যাগার স্ট্রিট

দূষণের চাদরে ঢেকে গিয়েছে গোটা পৃথিবী। অতিরিক্ত দূষণে যে জীবন সঙ্কটময়, সম্প্রতি তার টুকরো ছবি দেখা গিয়েছে দিল্লিতে। দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়েছে দিল্লির রাজপথ। মাস্ক পরে বেরলেও নিস্তার নেই। চোখ জ্বালা করেছে। স্কুল-অফিস প্রায় বন্ধ। এমন পরিস্থিতি শুধু দিল্লি নয়, বিশ্বের ব্যস্ততম বেশির ভাগ শহরগুলিতেই একই চিত্র। যানজট আর গাড়ির হর্নে ঝালাপালা পথচলতি নাগরিক। এই পরিস্থিতি থেকে যদি একটা দিন নিস্তার পাওয়া যায়! ভাবনা এমন এলেও উপায় কী?

Advertisement

তবে, উপায় খুঁজতে পথে নেমেই পথ দেখাল এক স্প্যানিশ আর্টিস্ট গ্রুপ লুজিনটেরাপ্টাস। একটু অন্য ভাবে। কানাডার টরেন্টোর ব্যস্ততম রাস্তা হ্যাগার স্ট্রিট। রাত ১২টা পেরলেও অনবরত যান চলাচলে ঘুম আসে না শহরের। কিন্তু সেই রাস্তা এক দিনের জন্য নিস্তব্ধ করে দেয় তারা। কী ভাবে?

হ্যাগার স্ট্রিটের পুরো রাস্তা ঢেকে দেওয়া হয় বইয়ে। প্রায় ১০ হাজার বই দিয়ে রাজপথ থেকে অলিগলি ঢেকে দেওয়া হয়। মাত্র এক দিনের জন্য। লুজিনটেরাপ্টাসের এক শিল্পী জানান, “গাড়ির ভিড়ে নয়, বইয়ের ভিড়ে রাস্তা থাকে ঢেকে। এক দিন শহর ঘুমোক নিশ্চিন্তে।” আলো লাগানো রয়েছে এই দশ হাজার খোলা বইয়ের পাতায়। রাতের অন্ধকারে টিমটিমে আলোয় মায়াবী হয়ে উঠেছে হ্যাগার স্ট্রিট। কিন্তু এত বই কী ভাবে এল লুজিনটেরাপ্টাসের কাছে। তাদের দাবি, এত বই দান করে সালভেশন আর্মি নামে গির্জা কর্তৃপক্ষ। ১২ দিন ধরে কাজ করে ব্যস্ততম রাস্তাকে বই দিয়ে ঢেকে ফেলে তারা। এ বছর টরেন্টোর নিউট ব্লাঁচে ফেস্টিভ্যালে অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই বইয়ের রাস্তা। দূষণ থেকে বাঁচতে তাদের স্লোগান ছিল সাহিত্য বনাম ট্রাফিক। অর্থাত্ শুধুমাত্র গাড়ি নয়, কবিতা, গল্প, সাহিত্য দখল করুক রাজপথগুলি। প্রকৃতির পাশাপাশি মনের দূষণও কমবে, এমনটাই দাবি লুজিনটেরাপ্টাসের শিল্পীদের।

Advertisement

আরও পড়ুন- হাঙরের ঝোল থেকে গাঁজার পকোড়া, খেতে চান?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন