প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
হাতে এত কাজ, দম ফেলার ফুরসত নেই— মাল্টিটাস্কিংয়ে সিদ্ধহস্ত ঋদ্ধিমার সব সময়ে এমনটা মনে হয়। ক্রমে তাঁর এই ‘কাজ শেষ না করতে পারার’ দুশ্চিন্তা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, তিনি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। কথায় কথায় মেজাজ হারান। সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে সকলের সঙ্গে। তবু সব কাজের ভার নিজেই নিতে চান। এক সময়ে মনোবিদের দ্বারস্থ হলে জানতে পারেন, তিনি ‘হারি সিকনেস’ নামে উদ্বেগজনিত সমস্যার শিকার।
মানসিক রোগের তালিকায় এখনও এই সমস্যা না থাকলেও, এক ধরনের ‘জেনারালাইজ়ড অ্যাংজ়াইটি ডিজ়অর্ডার’-এর ধরন এই হারি সিকনেস।
লক্ষণগুলি স্পষ্ট
হাতের জরুরি কাজ শেষ করতে না পারলে অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন। মনোবিদদের মতে, একটা পর্যায় পর্যন্ত তা স্বাভাবিক। কিন্তু এই দুশ্চিন্তা যদি সারাক্ষণ তাড়া করে, প্রতিটা সময়ে মনে হয় ‘আরও কাজ শেষ করতে পারলে ভাল’, আর সেই কাজ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়, তখনই দেখা দেয় উদ্বেগ।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জয়রঞ্জন রাম বলছেন, “দীর্ঘ দিন ধরে যদি কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। যেমন তাড়াহুড়ো করা ও এই সংক্রান্ত দুশ্চিন্তার জেরে ঘুম ও খিদে না পাওয়া, সব সময়ে ‘মাল্টিটাস্কিং’, অনিয়মের ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি, হাত-পা ঘেমে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, মেজাজ হারানো এবং তার জেরে সম্পর্কে তিক্ততা আসা, আত্মবিশ্বাসের অভাব... এই লক্ষণগুলো সাধারণত দেখা যায়।”
দীর্ঘ দিন এই লক্ষণগুলি থেকে গেলে একটা সময়ে দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত ক্লান্তি, ‘বার্নআউট’, মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা। এ ছাড়াও, হজম, ঘুম বা স্বাস্থ্যের আরও গুরুতর অবনতিও হতে পারে।
উপায় রয়েছে
চিকিৎসক জয়রঞ্জন রাম জানাচ্ছেন, কিছু বিষয়ে সচেতন হলে উপকার মিলতে পারে। যেমন,
এ ছাড়া, দিনের কিছুটা সময় ‘মি টাইম’ রেখে নিজেকে সময় দিলেও হারি সিকনেসের সমস্যা থেকে নিস্তার মিলতে পারে।