চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে আমরা নানা রকম প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। কিন্তু বেতন নিয়ে দর কষাকষির সময় অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না কী বলা উচিত, কী নয়। ফলে অনেক সময় ভাল অফার হাতছাড়া হয়ে যায়। অনেক সময় আবার আশানুরূপ বেতন না পেয়েও রাজি হয়ে যেতে হয়। জেনে নিন কোন প্রসঙ্গগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
আমি বিয়ে করছি বা নতুন বাড়িতে শিফট করছি: আপনার কাছে এই বিষয়গুলো জরুরি হলেও এতে কারও কিছু যায় আসে না। নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা এ ভাবে প্রকাশ করা অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়।
আই অ্যাম সরি কিন্তু...: নিজে বর্ধিত বেতন চাইছেন মানে আপনি মনেই করেন আপনি সেটা পাওয়ার যোগ্য। তার জন্য দুঃখিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
আমার প্রয়োজন বা আমি চাই: সত্যিই কি আপনার প্রয়োজন? সকলেই বেশি বেতন চায়। তাই এই ধরনের কথা শুনে কখনই কোনও সংস্থা ভাববে না কেন আপনাকে নেবে।
আমার কাছে এর থেকে ভাল অফার আছে: এতে সংস্থা ভাববে আপনি শুধুই অর্থের পিছনে ছোটেন। তাই এই তাসটা খেলবেন না।
অনেক দিন আমারা বেতন বাড়েনি: এই কথা বললে নতুন সংস্থা ভাববে আপনি বেশি বেতনের যোগ্য নন। বরং আপনার বর্ধিত বেতন তাদের কর্মী হিসেবে আপনার মূল্য বুঝতে সাহায্য করবে।
অন্যেরা কম কাজ করেও এর থেকে বেশি বেতন পাচ্ছেন: অন্যদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা সদর্থক আচরণ নয়। বরং নিজে কতটা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেন তা বলুন। তুলনা আপনার প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের পরিচয় দেবে।
আর বেশি চাই: ‘বেশি’ কথাটা কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু বোঝায় না। যা আপনাকে অফার করা হচ্ছে তার ২ শতাংশ বাড়ালে সেটাও কিন্তু বেশি। ঠিক কত বেতন চাইছেন তা নির্দিষ্ট করে বলুন।