খাবারেই মিলবে নায়াসিনামাইড। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক উজ্জ্বল রাখার যত উপায়ই থাকুক, নায়াসিনামাইড বা ভিটামিন বি৩ ছাড়া সেই যত্ন অসম্পূর্ণ। সাধারণত এই উপাদান প্রসাধনীতে পাওয়া যায়, যেমন ফেস সিরাম, ফেস টোনার, ময়েশ্চারাইজ়ার ইত্যাদিতে। কিন্তু শরীরও যদি ভেতর থেকে নায়াসিনামাইড পায়? তাতে ত্বকচর্চা যেমন সাশ্রয়ী হবে, তেমনই ফলপ্রসূ হবে বেশি পরিমাণে। ত্বকের স্বাস্থ্যে তার প্রভাব আরও দীর্ঘমেয়াদি হয়।
নায়াসিনামাইড শরীরে কোষের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, জ্বালা ভাব ও প্রদাহ কমায়, আর ত্বকের রঙের সামঞ্জস্য রক্ষা করে। আর এই উপাদান কেবল প্রসাধন সামগ্রীতে নয়, পাওয়া যায় প্রতি দিনের পরিচিত খাবার থেকেই।
সিরাম, টোনারে মিলবে নায়াসিনামাইড। ছবি: সংগৃহীত।
১০টি খাবার নায়াসিনামাইডে ভরপুর
১. মাশরুম: গ্রিল করে স্যালাডে মিশিয়ে খেলে শরীরে দ্রুত ভিটামিন বি৩ পৌঁছোয়।
২. মুরগির মাংস: চর্বিহীন অংশ সিদ্ধ বা ভাপে রান্না করুন, এতে পুষ্টি অটুট থাকে।
৩. মাছ: বিশেষ করে স্যামন ও টুনা নায়াসিনামাইডের জনপ্রিয় উৎস।
৪. চাল ও গম: নিয়মিত ভাত (বিশেষত ব্রাউন রাইস) বা রুটি থেকেই পাওয়া যায় প্রাকৃতিক বি৩।
৫. ডাল ও ছোলা: দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহার করলে শরীর ও ত্বক, দুই-ই ভাল থাকে। ডাল নায়াসিনামাইড এবং ভিটামিন বি৩-র ভাল উৎস।
৬. বাদাম: জলখাবারে বাদাম খেলে শক্তি যেমন বাড়ে, তেমনি ত্বকও থাকে উজ্জ্বল।
৭. মিষ্টি আলু: সেদ্ধ বা রোস্ট করা আলু শরীরে বি৩-র ঘাটতি পূরণ করে।
৮. ডিম: নিয়মিত ডিম খেলে চুল ও ত্বক পায় প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য।
৯. সবুজ শাকসব্জি: পালং, কলমি, লালশাক, মটরশুঁটি, অ্যাভোকাডো— সবকটিতেই প্রয়োজনীয় বি৩ মেলে।
১০. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: ল্যাক্টোজ় সহ্য করার ক্ষমতা থাকলে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন দুধ বা দই।
১১. কলা: অল্প পরিমাণে হলেও নায়াসিনামাইডের মাত্রা বাড়াতে পারে শরীরে।
খাদ্য থেকেই আসুক সৌন্দর্য
ত্বকের যত্ন মানেই কেবল মুখে প্রলেপ নয়, খাবারের পুষ্টিও সমান জরুরি। নায়াসিনামাইড ত্বককে যেমন ভিতর থেকে পুষ্ট করে, তেমনই মালিন্য কমিয়ে দেয়। তাই ক্রিম, সিরামে যতটা খরচ করছেন, তার বদলে প্রতি দিনের পাতে রাখুন এই বি৩ সমৃদ্ধ খাবার। শেষমেশ ত্বকের জেল্লা যে আসে স্বাভাবিক পথেই, অর্থাৎ ভিতর থেকে বাইরে।