ছবি : সংগৃহীত।
চা ভারতীয় জীবনের অঙ্গ। আড্ডা হোক বা মন খারাপ চা সব খানে সঙ্গী। এখন অবশ্য মানুষ ওজন ঝরানোর জন্যও চা খাচ্ছেন। তা হলে ত্বকের পরিচর্যার জন্যই বা চা খেতে সমস্যা কোথায়। সত্যি বলতে চায়ে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতেই পারে। তেমনই তিন চায়ের সন্ধান রইল। যার কয়েকটি বাড়ির বাগান থেকে তুলে আনা উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন।
তুলসী চা: ঠান্ডা লাগলে চায়ে আদা আর তুলসী মিশিয়ে খেতে বলা হত আগেকার দিনে। ওই চা ত্বকের জন্যও ভাল। তুলসী শরীরে জমা হওয়া বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। শরীরকে দূষণমুক্ত করায় তার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। শুষ্ক বা নির্জীব দেখতে ত্বকেও আসে ঔজ্জ্বল্য। এছাড়া তুলসীর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ক্ষমতা ব্রণ, ফুস্কুড়ির সমস্যাও কমাতে পারে। ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে কোষে কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় যা কোলাজেন উৎপাদনের জন্য জরুরি।
গোলাপ চা: এর স্বাদ আর গন্ধ যেমন মন ভাল করা। এটি গুণেও ততটাই উপকারী। গোলাপের পাপড়ি ভেজানো চায়ে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা ছাড়া এর সুগন্ধ স্নায়ুকে এতটাই তরতাজা রাখে যে তার প্রভাব পড়ে হরমোনেও। স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কাটাতে সাহায্য করে বলে এটিও ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে পরোক্ষে সাহায্য করে। অনেকে বেশি উপকার পেতে গোলাপের পাপড়ির সঙ্গে তুলসীর পাতা ভিজিয়েও চা খান।
চামোমিল চা: চামোমিল চা শরীরকে টক্সিন মুক্ত করার পাশাপাশি, স্নায়ুকে শান্ত রাখে। এতে ঘুমও ভাল হয়। যার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। অনেকসময়েই মানসিক চাপ, ঘুম না হওয়ার কারণেও ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন ব্যাহত হয়। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে। এই চা সেই সমস্যা দূরে রাখে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই চা ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।