তেল মাখলেই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে চুল ? ছবি: সংগৃহীত।
চুলের যত্ন বলতে মা, ঠাকুরমারা বুঝতেন ভাল করে তেল মাখা। বাড়ির মেয়েদের চুলে তেল মাখিয়ে বিনুনি করে ঘুমোতে পাঠানোর চল বহু দিনের। সেই একই পন্থা অনুসরণ করেন বি-টাউনের নায়িকাদের কেউ কেউ। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি জ়িন্টা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ঠাকুরমার কথামতোই এখনও চুলের যত্নে তেল মালিশ করেন তিনি।
ঈষদুষ্ণ তেল হালকা হাতে মালিশ করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। রুক্ষ ভাব উধাও হয়। কিন্তু সত্যিই কি এতে চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজায়? চুল বেড়ে ওঠে দৈর্ঘ্যে?
এ নিয়েই এবার নিজের মত জানালেন কেশচর্চা শিল্পী অমিত ঠাকুর। ধনকুবের অম্বানী পরিবারের বধূ নীতা অম্বানীর কেশচর্চা শিল্পী তিনি। অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-সহ অনেকেই অমিতের পরামর্শ মেনে চলেন।
‘তেল মাখা কতটা উপকারী’ — এই বিষয়ে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন অমিত। তাঁর বক্তব্য, তেল মাখার উপকারিতা থাকলেও, তা নিয়ে যা বলা হয়, তার সবটা ঠিক নয়। এক সময় মেয়েদের মাথায় নিয়ম করে তেল মাখিয়ে দিতেন মা, ঠাকুরমারা। তবে সে সব এখন অতীত।
তবে কি এর কোনও উপকারিতাই নেই? সে কথা অবশ্য বলছেন না অভিজ্ঞ কেশচর্চা শিল্পী। তাঁর কথায়, তেল অবশ্যই কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে। চুল নরম এবং সুন্দর রাখতেও এর ভূমিকা মানতেই হয়।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত চুল তেলের গুণে নতুন করে প্রাণ পায় বা চুল ঝরা বন্ধ করে দিতে পারে তেল, এমন ভাবনায় ভুল আছে বলেই মনে করেন কেশচর্চা শিল্পী। অমিত বলছেন, ‘‘চুলের সমস্যার পিছনে অনেক কারণ থাকে। ডায়েট, পুষ্টি, হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও থাকে ব্যক্তিগত জীবনযাপন পদ্ধতি।’’
কেশচর্চা শিল্পীর পরামর্শ হল, চুলে যদি বিশেষ সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।