কী ভাবে কাজ করে ‘ড্রাই ব্রাশিং’-এর এই টোটকা? ছবি: সংগৃহীত।
চিনের ত্বকচর্চার প্রাচীন পন্থা স্নানের আগে শুকনো গায়ে ব্রাশ বোলানো। একে বলে ‘ড্রাই ব্রাশিং’। মাত্র তিন মিনিট খরচ করলেই নাকি যথেষ্ট। কোনও সামগ্রী না মেখেই ত্বকের যত্ন। ব্যস্ত জীবনে ত্বকচর্চার সময় বার করা বড়ই মুশকিলের। তা ছাড়া সময় পেলেও আলস্য ঘিরে ধরে। নতুন প্রজন্মের জীবনযাত্রায় এমন একটি টোটকার আবির্ভাব হলে, জনপ্রিয়তা যে বাড়বে, তা অনুমেয়। আর তাই অনলাইনে প্রসাধনীর তালিকায় কত রকমের যে ‘বডি ব্রাশ’-এর পসরা সাজানো, তার ইয়ত্তা নেই। কী ভাবে কাজ করে এই টোটকা?
ড্রাই ব্রাশিংয়ের উপকারিতা
১. এক্সফোলিয়েট করে: এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এই টোটকা। স্নানের আগে শুকনো গায়ে হালকা শক্ত ব্রাশ বোলালে ত্বকের মৃত কোষগুলি ঝরে পড়ে যায়। এতে ত্বক কোমল হয়ে যায়। সপ্তাহে তিন বার ড্রাই ব্রাশিং করলে ধীরে ধীরে মৃত কোষের পরিমাণও কমে আসবে।
ত্বক বুঝে নরম বা শক্ত ব্রাশ বেছে নিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
২. লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম, অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ এই অংশে থাকে লিম্ফ নোডস, লিম্ফ ভেসেলস। লিম্ফ নোডস সারা শরীরে ত্বকের ঠিক নীচে থাকে। ড্রাই ব্রাশিংয়ের ফলে লিম্ফের প্রবাহ উন্নত হয় এবং নিজে থেকেই ডিটক্সিফাই করে অর্থাৎ শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বার করে দেয়।
৩. মৃত কোষ ঝরে যাওয়ার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় বলে ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। ড্রাই ব্রাশিংয়ের কারণে চেহারায় আভা ফুটে উঠতে পারে।
কী ভাবে করা উচিত?
ত্বক বুঝে নরম বা শক্ত ব্রাশ বেছে নিতে হবে। স্নানের আগে করলেই ভাল। কারণ, ত্বকের মৃত কোষ ঝরে পড়ার পর হালকা গরম জলে গা ধুলে অবশিষ্টাংশ উঠে আসে। শরীরচর্চা করে আসার পর ড্রাই ব্রাশিং সেরে নিলে শরীরে আরামও পাওয়া যায়। এ বার ধাপে ধাপে ড্রাই ব্রাশিং শিখে নিন—
১. প্রথমে পায়ের তলা থেকে শুরু করুন। ধীরে ধীরে দুই পায়ের দিকে উঠতে হবে। গোল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ব্রাশ করে নিতে হবে শরীরের প্রত্যেকটি অংশ। ধীরে ধীরে বুকের কাছে আসতে হবে।
২. পা থেকে বুকের কাছে পৌঁছে আবার হাত থেকে শুরু করতে হবে। হাতের তালু থেকে ব্রাশ করতে করতে আবার বুকের কাছে আসতে হবে।
৩. ঈষদুষ্ণ জলে স্নান সেরে নিতে হবে। এর ফলে ত্বকের মৃত কোষের অবশিষ্টাংশ ধুয়ে যাবে।
৪. গা মুছে নেওয়ার পর অল্প ভেজা থাকা অবস্থাতেই হালকা তেল বা হালকা ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিলে ত্বকের কোমলতা আরও বেড়ে যাবে।