Baishakhi Banerjee

Baishakhi Banerjee: প্রথম বার জামদানি শাড়ি পরে কী বিপত্তি ঘটেছিল বৈশাখীর? সকলে তাঁকেই দেখছিলেন কেন

বৈশাখীর আলমারিতে কালো, গোলাপি থেকে সাদা, সবুজ— যে রং ভাববেন, সে রঙেরই জামদানি রয়েছে। কিন্তু প্রথম জামদানিটি কী রঙের ছিল?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২২ ১৮:০০
Share:

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

কত রঙের যে জামদানি রয়েছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলমারিতে, তার কোনও ঠিক নেই। কালো, নীল, গোলাপি থেকে শুরু করে সাদা, সবুজ। যে রঙের কথা ভাববেন, তা-ই রয়েছে তাঁর কাছে। কিন্তু প্রথম জামদানিটি কী রঙের ছিল জানেন?

Advertisement

একটি কমলা রঙের জামদানি শাড়ি, তাঁর বাবাকে উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ‘‘বাবার স্ত্রীর জন্য সেই শাড়িটি দিয়েছিলেন,’’ বলেন বৈশাখী। কিন্তু পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য হওয়ায়, শাড়িটি পেয়েছিলেন বৈশাখী। সেই শাড়ি পরেই বন্ধুর সঙ্গে অষ্টমীর দিন বেরিয়েছিলেন বেড়াতে।

Advertisement

কমলা জামদানি পরে ঘটে একটি বিপত্তি। তখন তো সবে সবে শাড়ি পরেন। এ কালের বৈশাখীর মতো অত সহজে সামলাতে পারতেন না। হঠাৎ দেখেন, সকলে যেন ঘুরে ঘুরে তাঁকেই দেখছেন। প্রথমে ভেবেছিলেন, তাঁকে দারুণ দেখাচ্ছে। সে কারণেই এত লোকে তাকাচ্ছে। পরে বোঝেন, পিছন থেকে শাড়ির অনেকটা অংশ খুলে এসেছে! তখনও যে তিনি এত ভাল ভাবে সামলাতে পারতেন না শাড়ি।

ভূরি-ভূরি জামদানি জমা হয়েছে বৈশাখীর আলমারিতে। নিজস্ব চিত্র

তার পর অবশ্য ভূরি-ভূরি জামদানি জমা হয়েছে তাঁর আলমারিতে। নিজে তো কিনেছেন বটেই। তা ছাড়াও জামদানি আসে তাঁর বাংলাদেশের ভাইদের কাছ থেকে। এক সময়ে প্রাক্তন স্বামী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তখন নিয়মিত হাসপাতালে পড়ে থাকতেন বৈশাখী। তখন বাংলাদেশ থেকে আসা বহু রোগীর পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়ের মতো সম্পর্ক হয়ে যায়। ভাইফোঁটা, পুজো, ইদ— নানা সময়ে ঢাকা থেকে জামদানি শাড়ি আসে তাঁর কাছে।

তবে বৈশাখীর কাছে সবচেয়ে দামি জামদানি অন্য একটি। সেটি হল সাদা রঙের। তা পরেই আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে শাড়ির আড্ডায় বসেছিলেন। দোকানের তাক থেকে তাঁর মেয়ে নিজে পছন্দ করেছে শাড়িটি। এ রকম একটি লাল জামদানিও আছে। মায়ের কাছে মেয়ের পছন্দ করা শাড়ি চেয়ে দামি আর কী বা হতে পারে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন