ছবি : সংগৃহীত।
উৎসবে প্রিয় মানুষটির জন্য শাড়ি কিনছেন। হয়তো ঢালা জরি পাড় একটি সিল্ক বা সুতির শাড়ি পছন্দও হল। কিন্তু দাম দিয়ে যে জরিপাড় শাড়ি কিনলেন, তাতে জরিও কি আসল পেলেন? এক নজরে দেখে বোঝা না যাক কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে আসল এবং নকল জরির ফারাক বুঝতে পারবেন।
১। ঝলমলে নয়
আসল জরির ঔজ্জ্বল্য হবে কম। অর্থাৎ, খুব বেশি ঝকমক করবে না। আসল জরি তৈরি হয় সুতোয় সোনা বা রুপোর পরত দিয়ে। তাই খুব হালকা, নরম একটা দ্যুতি থাকে তাতে। তার ঔজ্জ্বল্য বোঝা যায় সরাসরি সূর্যের আলোয় ধরলে। কিন্তু যদি দেখেন জরির রং অত্যন্ত বেশি উজ্জ্বল এবং ঝলমলে, তবে নিশ্চিত ভাবেই সেটি সিন্থেটিকের তৈরি।
২। ওজন কেমন
শাড়ির জরি আসল বা নকল কি না বোঝার আরও একটি সহজ পরীক্ষা আছে। শাড়ির পাড় বা জরির কাজ করা অংশটি হাতে নিয়ে দেখুন। আসল জরিতে যেহেতু ধাতুর মিশেল রয়েছে, তাই তার ওজন হবে কিছুটা বেশি। তুলনায় সিন্থেটিকের জরি হবে হালকা।
৩। উল্টো পিঠে চাবিকাঠি
আসল জরির বোনার পদ্ধতিটি হয় সূক্ষ্ম ,তাই সামনের দিকের বুনন যেমন নিখুঁত হবে, পিছনের দিকের বুননও হবে সেই রকম। কোনও কাটা সুতো থাকবে না।
৪। অনুভব করুন
ধাতুর একটা গন্ধ থাকে। জরি নাকের কাছে এনে দেখুন যদি ধাতব গন্ধ নাকে লাগে, তবে জরি আসল। আসল জরি ধরলে একটা ঠান্ডা অনুভূতিও হবে। তাই শাড়ির কেনার সময় জরির পাড়ে হাত দিয়ে দেখুন।
৫। পোড়ানো
দোকানে শাড়ির জরি পোড়ানো সব সময় সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে এই পরীক্ষাতেও জরির খাঁটিত্ব বোঝা যায়। যদি জরি আসল হয় তবে পুড়ে ছাই হবে। যদি তা না হয় তবে দলা পাকিয়ে শক্ত হয়ে যাবে।