সকালে নরম ঠোঁট পেতে রাতে নিয়ম মেনে চলুন। ছবি: সংগৃহীত।
রাতে ঘুমের আগে নিজেকে সময় দেন তো? ত্বকচর্চা এবং কেশচর্চা করেন। নিজের মনকেও সময় দেন। তা হলে কেন বাদ পড়ে যায় ওষ্ঠাধর? সারা দিন ধরে মুখের বাকি অংশের মতোই দূষণ, রোদ, ময়লার সংস্পর্শে আসে আপনার ঠোঁট। কিন্তু যত্নের সময়ে ঠোঁট পিছনের সারিতে পড়ে থাকে। তাই সহজেই তা শুষ্কতার কবলে পড়ে। সৌন্দর্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। লিপস্টিক দিয়ে সাজালেও রং বসে না ঠিক করে। তাই সুপারিশ করা হয়, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটকে সময় দিন। তা হলে সকালে একেবারে মসৃণ, কোমল ঠোঁটের অধিকারী হবেন। দেখতেও ভাল লাগবে, ঠোঁটও ভাল থাকবে।
সকালে কোমল ঠোঁট পেতে রাতে ৭টি অভ্যাস পালন করুন—
১. ঘুমানোর আগে লিপস্টিক বা লিপগ্লস মুছে ফেলুন। রাত জুড়ে ঠোঁটে পণ্য বা রং বসে থাকলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
২. হালকা স্ক্রাব দিয়ে ঠোঁটের মৃত ত্বক অপসারণ করুন। বা মধু ও চিনি মিশিয়ে আলতো মাসাজ করে নিতে পারেন। এর ফলে ঠোঁট মসৃণ হয়।
৩. ঘুমানোর আগে একটি পুষ্টিকর লিপবাম লাগিয়ে নিন, যেমন শিয়া বাটার, নারকেল তেল বা ভিটামিন ই যুক্ত পণ্য। এতে ঘুমানোর সময়ে ঠোঁট ফাটার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. ঘর যদি খুব গরম হয় বা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হয়, তা হলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা উচিত। এতে বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয় না।
৫. ঘুমানোর একটু আগে এক গ্লাস জল পান করুন। ভিতর থেকে হাইড্রেটেড থাকলে ঠোঁট ও ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সম্ভব হয়।
৬. ঠোঁটে বার বার জিভ ঠেকানো বন্ধ করুন। লালা ঠোঁটকে সাময়িক ভাবে ভিজিয়ে রাখে বলে মনে হতে পারে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে দ্রুত শুকিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। ফলে ঠোঁটকে আরও শুষ্ক ও খসখসে করে তোলে।
৭. বালিশের কভার বা কুশনের কভার যেন পরিষ্কার হয়, নয়তো সারা রাত ধরে ব্যাক্টেরিয়া জমে ঠোঁট-সহ মুখের ত্বকে সংক্রমণ বা জ্বালা তৈরি করতে পারে।