কোন কোন ফেস-মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা ফিরবে? ছবি: ফ্রিপিক।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে ত্বকের অন্যতম উপাদান কোলাজেন নামে প্রোটিন। যার জেরে শিথিল হয়ে পড়ে ত্বক। ধীরে ধীরে বলিরেখাও পড়তে শুরু করে। শুধু বয়স নয়, দূষণ এবং ক্ষতিকর সূর্যরশ্মির প্রভাবেও ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে। ত্বকের তারুণ্য যদি ধরে রাখতে হয়, তা হলে রূপটান নয়, ত্বকের পরিচর্যায় বেশি নজর দিতে হবে। ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন ফেস-মাস্ক ব্যবহার করলে কাজ হবে ভাল। কী কী ধরনের ফেস-মাস্ক বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন, তা জেনে রাখা ভাল।
আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তবে, ত্বকে আর্দ্রতা বাড়াতে পারে এমন উপাদান বেছে নিন, যেমন অ্যালোভেরা জেল বা মধু। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তবে বেসন বা মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার পছন্দের অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানও যোগ করতে পারেন, যেমন কোনও ফল, কোনও সব্জির রস বা অন্য কোনও ভেষজ উপাদান।
কী কী ফেস-মাস্ক বানাবেন?
বিটের রস ও মুলতানি মাটি
ত্বক যদি খুব তৈলাক্ত হয়, তাতে ব্রণ-ফুস্কুড়ির আধিক্য থাকে তা হলে বিটের রস ও মুলতানি মাটি দিয়ে তৈরি করে নিন ফেস-প্যাক। ২ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ৩ চামচ বিটের রস ভাল করে মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে হালকা হাতে মালিশ করে মাস্কটি তুলে ফেলতে হবে। ত্বক শুষ্ক লাগলে ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিতে পারেন।
কালচে ছোপ দূর করার মাস্ক
১ চামচ গুঁড়ো দুধের সঙ্গে ১ চা-চামচ দই ভাল ভাবে মিশিয়ে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন মিনিট ১৫। তার পরে ভাল ভাবে ধুয়ে নিন। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক ত্বকের কোষকে উজ্জ্বীত করে। লেবু মুখ থেকে পোড়া ভাব বা কালচে ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। গুঁড়ো দুধ প্রোটিন এবং ল্যাকটিক অ্যাসিডের জোগান দিয়ে ত্বককে পুষ্টি জোগায়।
মধু-অ্যালোভেরা জেল
১ চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন অ্যালোভেরা জেল। মাস্কটি ভাল করে মুখে ঘাড়ে, এবং যে সব জায়গায় কালচেভাব আছে, লাগিয়ে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে মাস্কটি ধুয়ে ফেলুন। আপনার পছন্দের ময়েশ্চারাইজ়ার দিয়ে বা অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মুখে মালিশ করে নিন।