রান্নায় লাগে এই মশলা, তাই দিয়েই বানিয়ে নিন তেল। ছবি: ফ্রিপিক।
চুল ভাল রাখতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল নিশ্চয়ই মাখেন। অনেকে আবার নানা রকম এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে চুলের পরিচর্যাও করেন। তবে চুল পড়া যদি একবার শুরু হয়, তা হলে সহজে বন্ধ হয় না। তার উপর যদি খুশকির সমস্যা থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। গোছা গোছা চুল উঠে যাঁদের চুল পাতলা হয়ে গিয়েছে বা মাথার মাঝখানে বড়সড় টাক পড়েছে, তাঁরা একটি বিশেষ তেল মেখে দেখতেই পারেন।
কোনও নামী দামি ব্র্যান্ডের তেলের কথা বলা হচ্ছে না। এই তেল বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই। সামান্য উপকরণেই তৈরি হয়ে যাবে। ভাবছেন তো কী? চুল ভাল রাখতে সাহায্য করবে আদার তেল। আদায় এত বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে, যা চুলের গোড়া মজবুত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে প্রদাহ। আদার তেল মাথার ত্বকে প্রদাহ নিরাময়ে সাহায্য করে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে কিংবা খুশকির সমস্যা থাকলে আদার তেল কার্যকরী হতে পারে।
আদার তেল বানাবেন কী ভাবে?
চুল পড়া বন্ধ করতে
আদার তেল নানা ভাবে বানানো যেতে পারে। একটি পাত্রে সম পরিমাণে আদার নির্যাস ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে ও মাথার ত্বকে ভাল করে মালিশ করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পরে ঈষদোষ্ণ জলে চুল ধুয়ে নিন। এই তেল কোলাজেন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেবে। চুল পড়া বন্ধ হবে। পাশাপাশি চুলের ঘনত্বও বাড়বে।
চুলের ঘনত্ব বাড়াতে
২ চা চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ১ চা চামচ আদার নির্যাস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে মেখে ৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এই তেল চুলের ঘনত্ব বাড়াবে।
রুক্ষ চুলের পরিচর্যায়
চুল খুব রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে গেলে ২ চা চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে ১ চামচ আদার নির্যাস মিশিয়ে নিন। এই তেল মাথায় মালিশ করে এক ঘণ্টার মতো রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই তেল সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে রুক্ষ চুল নরম ও মসৃণ হবে।