Batana Oil Using Tips

‘আশ্চর্য ক্ষমতাসম্পন্ন’! বাটানা তেল নাকি চুলের যাবতীয় সমস্যা মেটাবে, উঠছে এমনই দাবি, কী ভাবে মাখবেন

হনডুরাস এবং মধ্য আমেরিকার স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ঘন হয়, পাক ধরে দেরিতে, আর মাথার ত্বক থাকে আর্দ্র ও পুষ্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১৪
Share:

বাটানা তেল মাখার নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।

হনডুরাস এবং মধ্য আমেরিকার অন্যান্য রেনফরেস্টে ওজোন পাম গাছ পাওয়া যায়। সেই গাছের বাদাম থেকে নিঃসৃত হয় এই বিশেষ তেল। স্থানীয় মিসকিতো জনগোষ্ঠী বহু প্রজন্ম ধরে এই তেল ব্যবহার করে আসছেন। তাঁদের বিশ্বাস, এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ঘন হয়, পাক ধরে দেরিতে, আর মাথার ত্বক থাকে আর্দ্র ও পুষ্ট। তেলটি ঘন, রং গাঢ় বাদামি, গন্ধ ভাজা বাদামের মতো।

Advertisement

পুষ্টিগুণের দিক থেকে বাটানা তেল অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই, ভিটামিন এ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তাই বলা হচ্ছে, চুলে ফিরিয়ে আনতে পারে হারিয়ে যাওয়া পুষ্টিগুণ।

পুষ্টিগুণে ভরপুর ওজোন পাম গাছের বীজ। ছবি: সংগৃহীত।

বাটানা তেলের উপকারিতা কী কী?

Advertisement

১. চুল গজানোয় সাহায্য- বাটানা তেল মাথায় মালিশ করলে চুলের ফলিকলগুলি উদ্দীপিত হয়ে নতুন করে চুল গজানোয় সাহায্য করে। তেলে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চুলের ভিতরে প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায়।

২. চুলের মেরামতি- চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাটানা তেলে ভরসা রাখতে পারেন। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে চুলের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখার চেষ্টা করে এই তেল। পাশাপাশি, ভাঙন ধরা রোধ করে।

৩. কন্ডিশনিং বা ময়েশ্চারাইজ়িংয়ে সাহায্য- টোকোফেরল এবং টোকোট্রিয়েনলের মতো ভিটামিন ই ভর্তি এই তেলে। তাই তেল আপাত ভাবে হালকা হলেও ঘনত্ব বেশি। তাই মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই লিভ-ইন ট্রিটমেন্ট করেন, অর্থাৎ শ্যাম্পুর পর অল্প তেল চুলে মেখে রেখেই বেরিয়ে পড়েন। তাতে চুল কোমল থাকে।

৪. মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষা- প্রদাহনাশী বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতির কারণে মাথার ত্বক থেকে জ্বালা দূর করে ঠান্ডা করে। পাশাপাশি, খুশকির সমস্যাও মেটায়।

কী ভাবে মাখতে হয় এই তেল?

বাটানা তেল চুলে লাগানোর পদ্ধতিও সহজ। সামান্য তেল হাতের তালুতে নিয়ে ঘষে হালকা গরম করে নিন অথবা গরম করেও মাখতে পারেন। তার পর মাথার ত্বকে এবং পুরো চুলে ভাল ভাবে মেখে নিন। অন্তত আধ ঘণ্টা রেখে তার পর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে চুল নরম ও মসৃণ হয়। চাইলে সারা রাত তেল রেখে সকালে ধুয়ে নেওয়া যায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করতে পারেন। তবে যাঁদের মাথার ত্বক খুব তৈলাক্ত বা চুল খুব পাতলা, তাঁরা অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন বা শুধু নীচের অংশে লাগান। নতুন তেল ব্যবহার করার আগে

সামান্য অংশে পরীক্ষা করে নেওয়া ভাল। যাতে কোনও অ্যালার্জি বা জ্বালা দেখা না দেয়। আর যাঁদের চুল অতিরিক্ত শুষ্ক বলে কথায় কথায় জট পড়ে যায়, তাঁরা লিভ-ইন ট্রিটমেন্টের মতো বেরোনোর সময়ে অল্প তেল চুলে মেখে নিতে পারেন। সারা দিন ধরে চুল উড়ে জট পড়তে দেবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement