আলিয়া ভট্ট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সারা বছর ত্বকের যত্নআত্তিতে পিছিয়ে থাকলেও পুজোর আগে ঝকঝকে, বলিরেখাহীন ত্বক পেতে অনেকেই অনেক রকম টোটকা ব্যবহার করেন। সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য দরকার নিয়মিত চর্চা। পাশাপাশি, ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন ফেস মাস্ক ব্যবহার করলেও কাজ ভাল হবে। এ ক্ষেত্রে বাজারচলতি প্রসাধনীর বদলে বাজারের সব্জিতেও ভরসা করতে পারেন। বাজারে এখন বিট বছরভরই পাওয়া যায়। বিটের রস শরীরের জন্য খুব উপকারী। ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর বিট বলিরেখা দূর করতে, দাগছোপ কমাতে সাহায্য করে। চোখের তলার কালচে দাগও দূর করে এটি। ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হতে পারে বিটের গুণে। ত্বক আর্দ্র রাখতে, প্রদাহ কমাতে ও ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ রুখতেও এটি কার্যকর। বিটের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এগুলি শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এই সব্জিটি কোলাজেন উৎপাদনে উদ্দীপকের ভূমিকাও পালন করে। তবে রূপটান শিল্পীরা বলছেন, ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে শুধু বিট খেলেই হবে না, রূপচর্চার কাজেও তা ব্যবহার করতে হবে।
ত্বকচর্চায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন বিট?
বিট, টক দই এবং মধু:
ছোট একটি পাত্রে পরিমাণ মতো বিটরুট পাউডার নিন তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক টেবিল চামচ টক দই এবং এক চা চামচ মধু। ওই মিশ্রণটি মুখে মেখে রাখুন মিনিট কুড়ি। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই মাস্ক মুখে মাখতে পারলে জেল্লা তো বৃদ্ধি পাবেই, সঙ্গে দু’গালে খেলবে লালচে আভা।
বিট, মুলতানি মাটি এবং গোলাপজল:
ছোট একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ বিটের গুঁড়ো এবং আধ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি গোলাপজল দিয়ে ভাল করে গুলে ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার ওই মিশ্রণটি মুখে মেখে রাখুন আধ ঘণ্টা। তার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিষ্প্রাণ ত্বকে জেল্লা ফেরাতে দারুণ কাজ করে এই প্যাক।
বিট, চালের গুঁড়ো, অ্যালো ভেরা জেল:
ছোট একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ বিটের গুঁড়়ো, এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো, আধ চা চামচ চিনি এবং পরিমাণ মতো অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে নিন। ওই মিশ্রণ মুখে মেখে হালকা হাতে বৃত্তাকারে গোটা মুখে ঘষতে থাকুন। মুখের উপরিভাগ থেকে মৃত কোষ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে এই প্যাক।