উৎসবের মরসুমে কোন ভুলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
সামনেই কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা। উৎসব মানেই বেহিসেবি খাওয়া, রাত জেগে হইচই, মনের মতো সাজগোজ। আর ঠিক সেই কারণেই এই সময় দৈনন্দিন রুটিন ভেস্তে যায়। রূপচর্চা শিল্পীরা সতর্ক করছেন, সমস্যার কারণ সেখানেই। দীর্ঘ ক্ষণ মেকআপ করে থাকা, নিয়ম মেনে না খাওয়া, ভাজাভুজি, মিষ্টির মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার, জল কম খাওয়ার প্রভাব পড়ে ত্বকে। উৎসব-অনুষ্ঠানে জেল্লা ফেরাতে যতটা পরিশ্রম করতে হয়, তা নষ্ট হতে পারে ২-৪ দিন অনিয়ম হলেই।
ত্বকের রোগের চিকিৎসকেরা বলছেন, উৎসবের মরসুমে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে থাকে। তা ছাড়া ভারী মেকআপ, ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার প্রভাবও পড়ে ত্বকে। এই সময়ে কী ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার।
ডিটক্স
শরীর থেকে যেমন দূষিত পদার্থ বার করে দেওয়া জরুরি, তেমনই ত্বক থেকেও। সে কারণে দিনের শেষে মেকআপ তুলে ফেলতেই হবে। বেছে নেওয়া দরকার অ্যালকোহল বিহীন কোনও মেকআপ রিমুভার, না হলে নষ্ট হতে পারে মুখের পিএইচ ভারসাম্য। মেকআপ তুলে ফেলার পরে, ব্যবহার করতে হবে ভিটামিন সি বা নায়াসিনামাইড জাতীয় সিরাম। ত্বক গভীর ভাবে আর্দ্র রাখতে তা সাহায্য করবে।একইসঙ্গে জল খাওয়া খুব জরুরি। জলের অভাব হলে প্রভাব পড়বে ত্বকে। ফলে ডাবের জল, ভেষজ চা, স্যুপ জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার।এতে শরীর ভাল থাকবে।
ফেশিয়াল থেরাপি
ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে ফেশিয়াল বা থেরাপির সাহায্য নেওয়া যায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেশিয়াল করতে হবে। হাইড্রা থেরাপি, এলইডি লাইট থেরাপি ত্বকের জেল্লা ফেরাতে, বলিরেখা কমিয়ে মুখ টানটান করতে সাহায্য করে।
ত্বকের বর্ম
ত্বক ভাল রাখতে ত্বকের সুরক্ষা বর্ম অটুট রাখা জরুরি। উৎসবের মরসুমে দৈনন্দিন রূপচর্চায় ছেদ পড়ে। ফলে ত্বকের সুরক্ষা বর্ম ভেঙে যেতে পারে। সেরামাইড জাতীয় ময়েশ্চারাইজ়ার, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অতি অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। এমনকী বাড়ির ভিতরে থাকলেও তা ব্যবহার করা জরুরি বলে মনে করছেন ত্বকের রোগের চিকিৎসকেরা।
আধুনিক চিকিৎসা
বয়স হলে কোলাজেনের মাত্রা কমে, ত্বক কুঁচকে যায়, বলিরেখা পড়ে। ত্বকের এমন নানা ধরনের সমস্যা সমাধান পেশাদার কারও সাহায্য নেওয়া দরকার। নানা ধরনের থেরাপি, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, ত্বকের সমস্যার সমাধানের জন্য।