Moustache Cleaning Tips

রুক্ষ, অগোছালো, নোংরা! গোঁফের অবস্থা এমন শোচনীয় হলে দূরে সরে যাবেন সকলে, যত্ন নিন ৭ ধাপে

গোঁফ অপরিষ্কার, মলিন, রুক্ষ, এলোমেলো হয়ে থাকলে প্রথম দেখাতেই খারাপ ধারণা তৈরি হতে পারে অন্যদের। সেই সুযোগ কেনই বা দেবেন কাউকে? তাই প্রতি দিন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নিজের গোঁফের যত্ন নিন। পুরুষের চেহারায় বিশেষ চরিত্র যোগ করে গোঁফ। রইল সেই গোঁফের সৌন্দর্যবৃদ্ধি করার ৭ ধাপ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ২০:১৮
Share:

গোঁফের যত্ন করার নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।

গোঁফ দিয়েই যায় চেনা। তাই গোঁফের প্রতি বিশেষ যত্ন যে বড়ই প্রয়োজন! অপরিষ্কার, মলিন, রুক্ষ, এলোমেলো হয়ে থাকলে প্রথম দেখাতেই খারাপ ধারণা তৈরি হতে পারে মানুষের। সেই সুযোগ কেনই বা দেবেন কাউকে? তাই প্রতি দিন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নিজের গোঁফের যত্ন নিন। পুরুষের চেহারায় বিশেষ চরিত্র যোগ করে গোঁফ। রইল সেই গোঁফের সৌন্দর্যবৃদ্ধি করার ৭ ধাপ—

Advertisement

১. সঠিক আকার বেছে নেওয়া: প্রথমেই নিজের গোঁফের আকার কেমন হবে, তা স্থির করে নিতে হবে। ঘন না কি পাতলা, দু'দিকে মোচড়ানো না কি ট্রিম করা— এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যেন থাকে নিজের কাছে। মুখের আকৃতি অনুযায়ী গোঁফের ধরন বেছে নেওয়া উচিত। গোঁফকে কেতাদুরস্ত সাজ দিতে হলে এই ধাপই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

২. পরিষ্কার করা: প্রতি দিন মুখ ধোয়ার সময় গোঁফে হালকা করে হাত বুলিয়ে নিলেই তা পরিষ্কার হয় না। ধুলো, ঘাম ও খাবারের কণা জমে থাকলে চুলের গোড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই রোজ বিশেষ নজর দিতে হবে গোঁফের দিকে। হালকা গরম জলে ধুয়ে মৃদু সাবান বা মুখের জন্য নির্দিষ্ট ক্লিনজ়ার ব্যবহার করতে পারেন। তবে দাড়ি-গোঁফের জন্য মৃদু শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। তাতে আর্দ্রতাও বজায় থাকে গোঁফের। রুক্ষতা কমাতে সাহায্য করে। গোঁফ শুকোনোর সময়েও রুক্ষ তোয়ালে ব্যবহার না করে নরম কাপড় দিয়ে মুছে নেওয়া উচিত।

Advertisement

৩. ছাঁটাই করা: নিয়মিত না ছাঁটলে দ্রুত গোঁফের আকার নষ্ট হয়ে যায়। গোঁফের দৈর্ঘ্য যদি ঘেঁটে যায়, তা হলে সৌন্দর্য নষ্ট হতে সময় লাগে না। দৈর্ঘ্যের সঠিক যত্ন নেওয়াই পরিচ্ছন্নতার মূল চাবিকাঠি। আর তাই সপ্তাহে এক বার অন্তত নিয়ম করে কাঁচি বা ট্রিমার দিয়ে ঠোঁটের উপর জমে থাকা চুলের অংশ ছেঁটে দিতে হবে। প্রান্তগুলি এক দিকে করে সমান রাখলে গোঁফ আরও ঘন দেখাবে। নাকের নিচের অংশ পরিষ্কার রাখলে মুখের গঠন স্পষ্ট হয়। তাই প্রান্তগুলি ছাঁটাই করার সময়ে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।

গোঁফ ছাঁটাই। ছবি: সংগৃহীত।

৪. আঁচড়ানো: ছোট দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করে প্রতি দিন অন্তত এক বার গোঁফ আঁচড়াতে হবে। এতে জট পড়া রুখে দেওয়া যায়, উপরন্তু দেখতেও সুন্দর লাগে। স্নানের আগে বা পরে এই অভ্যাস খুবই জরুরি। প্রথমে নীচ থেকে উপরের দিকে আঁচড়ে নিয়ে শেষে উপর থেকে নীচে চিরুনি বুলিয়ে নিতে হবে। এর ফলে কোনও ময়লা নীচের স্তরে জমে থাকলে বেরিয়ে যাবে, গোঁফকে ঘনও দেখাবে।

৫. ময়েশ্চারাইজ় করা: প্রতি দিন অল্প করে আমন্ড তেল, নারকেল তেল বা গোঁফের জন্য নির্দিষ্ট ক্রিম ব্যবহার করলে চুল নরম ও মসৃণ হবে। এগুলিতে থাকা ভিটামিন ই ও প্রাকৃতিক তেল চুলের গোড়া মজবুত করে, ভাঙন রোধ করে এবং চুলে দীপ্তি আনে। স্নানের পর ভেজা গোঁফে তেল মাখলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

৬ ওয়াক্স ব্যবহার করা: যদি গোঁফ ঘন ও লম্বা হয়, তা হলে অল্প পরিমাণ ওয়াক্স ব্যবহার করে আকার স্থির রাখতে পারেন। গোঁফের যত্নের জন্য বিশেষ ওয়াক্স এখন অনলাইনেই পাওয়া যায়।

৭. পেশাদারের সাহায্য নেওয়া: নিজে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি মাসে এক বার পেশাদারদের কাছে বা সালোঁয় গিয়ে গোঁফের আকৃতি ঠিক করিয়ে নিতে পারেন। সেখানে গিয়ে গোঁফের প্রান্তগুলি সমান করিয়ে নেবেন, যাতে কেতাদুরস্ত দেখায় আপনার গোঁফ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement