সবুজ কফির দানায় কেশচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
চুল নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রায় সবারই। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের অধিকাংশের থেকেই অভিযোগ শোনা যায়, যত্ন নিয়েও চুল ঝরে যাচ্ছে। দামি প্রসাধনী বা জটিল ট্রিটমেন্ট করেও উপকার মিলছে না। প্রাকৃতিক উপাদানেও যে বিশেষ সুফল মিলছে, তা-ও নয়। তবে সে ক্ষেত্রে আরও এক বার প্রকৃতির উপর ভরসা রেখে দেখতে পারেন। নতুন উপাদানের উপকারিতা কথা বলছেন অনেকে। সবুজ কফি। অনেকেই হয়তো ভাববেন, মাচা কফির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু তা নয়। সবুজ কফি হল, সেই কফির দানা, যেগুলি রোস্টেড নয়, অর্থাৎ ভাজা নয়। তাই এই দানাগুলির রং হালকা সবুজ হয়। তা ছাড়া কাঁচা দানায় পুষ্টিগুণও অক্ষত থাকে। আর সেই পুষ্টিগুণই চুল ও মাথার ত্বকের জন্য উপকারী।
কেন সবুজ কফির দানা উপকারী?
· এতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা চুলের গোড়ার ক্ষয়রোধ করে।
· মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে গোড়া প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
· এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা চুলকে মজবুত করে ও ভাঙন ধরা থেকে আটকায়।
নতুন প্রজন্মের অধিকাংশের থেকেই অভিযোগ শোনা যায়, যত্ন নিয়েও চুল ঝরে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।
চুলে ব্যবহার করবেন কী ভাবে?
১. সবুজ কফিদানার জল দিয়ে ধোয়া
২ চামচ সবুজ কফিদানা এক কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে শ্যাম্পুর পর মাথায় ঢেলে হালকা করে মালিশ করুন। ৫ মিনিট রেখে শুধু জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল উজ্জ্বল হবে ও গোড়া শক্ত হবে।
২. চুলের প্যাক
সবুজ কফির গুঁড়ো, অ্যালো ভেরা জেল, নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে চুল ও মাথার ত্বকে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার ত্বক ঠান্ডা হবে, শুষ্কতা কমবে এবং চুলে আর্দ্রতা ফিরে আসবে।
৩. মাথার ত্বকে স্ক্রাব করা
সবুজ কফির গুঁড়ো, জলপাই তেল, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে আলতো ভাবে ৩-৫ মিনিট মাথার ত্বকে ঘষে নিন। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। মাথার ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও মৃত কোষ সাফ হয়ে যাবে। ফলে গোড়া আরও স্বাস্থ্যকর হবে।
কত বার ব্যবহার করবেন?
সপ্তাহে দু’বার সবুজ কফি ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। বেশি ব্যবহার করলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। মাথায় রাখবেন, সব সময় টাটকা কফিগুঁড়ো ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে মাথার ত্বকে অল্প জায়গায় লাগিয়ে দেখে নিতে হবে, কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। প্যাচ টেস্ট না করলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। সবুজ কফি কোনও জাদু-উপাদান নয়। নিয়মিত ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে চুলে দীপ্তি ফিরবে, চুল ঝরা কমবে। আর এর পাশাপাশি ভাল খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম আর যথেষ্ট জল খাওয়াও সমান জরুরি।