মুখের আভা বাড়বে পানীয়ের গুণে! কী ভাবে মাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
মসৃণ ত্বকে লেগে থাকবে আভা। মেকআপের পরত ছাড়াই মুখে থাকবে দীপ্তি, তেমনটাই তো চান সকলে! কিন্তু কী করে এমন ত্বক পাওয়া যায়, সেটাই জানা নেই? ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং জরুরি। তবে যাঁরা দিনের শেষে নিয়ম করে ধাপে ধাপে ত্বকের যত্ন করতে ক্লান্তিবোধ করেন, তাঁরা প্রতি দিন ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের জন্য বিশেষ পানীয়।
ত্বকের পানীয় হল গোলাপজল। মুখের পরিচর্যায় গোলাপের পাপড়ি এবং জলের ব্যবহার বহু দিনের। মুম্বইয়ের ত্বকের রোগের চিকিৎসক বিন্দু স্থলেকর বলছেন, ‘‘ গোলাপজল ত্বকের জ্বালা ভাব কমায়, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং তরতাজা ভাব আনে।’’ গোলাপজল ‘টোনার’ হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। এমনকি, স্পর্শকাতর ত্বকের জন্যও তা ভাল। রাতভর মুখে লাগিয়ে রাখলে সকালেই পাওয়া যাবে সুন্দর ত্বক।
ত্বকের রোগের চিকিৎসকের কথায়, 'ত্বকের পানীয়' বলা যায় এটিকে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
রাতভর গোলাপজল মাখার উপকারিতা
আর্দ্রতা: ত্বকের আর্দ্রতা কিছুটা হলেও ধরে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে যদি ক্রিম মাখলে অসুবিধা হয় বা গরমের দিনে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে ইচ্ছা না করে, খুব ভাল করে মুখ পরিষ্কার করার পর মুখে গোলাপজল মাখা যায়। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
জ্বালাভাব কমায়: ব্রণ বা ফুস্কুড়ি বা কোনও কারণে মুখে জ্বালা হলে, চুলকালে গোলাপ জল স্বস্তি দিতে পারে। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা গোলাপজল তুলোর সাহায্যে মুখে লাগালে, আরামবোধ হবে।
পিএইচ ভারসাম্য: ত্বকেও অ্যাসিড এবং ক্ষারের ভারসাম্য থাকা জরুরি। গোলাপজল পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। গোলাপজল সামান্য অ্যাসিডিক। এটি ত্বককে অতিরিক্ত তৈলাক্ত হতে দেয় না।
ঔজ্জ্বল্য: নিয়মিত এবং রাতভর গোলাপজলের ব্যবহারে ত্বকের বদল আসে। কালচে ভাব দূর করার পাশাপাশি গোলাপজল মুখে দীপ্তি আনে। কারও কারও মুখের কোনও কোনও অংশ কালচে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে গোলাপজল মাখলে মুখের অসমান বর্ণে সামঞ্জস্য ফিরবে।
বলিরেখা: গোলাপজল সরাসরি বলিরেখা দূর করতে পারে না। তবে এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে ত্বকের তারুণ্য বেশি দিন ধরে রাখা সম্ভব হয়।
গরম বা বর্ষার সময় বাইরে যথেষ্ট আর্দ্রতা থাকে। ঘামে যাতে মেকআপ গলে না যায়, সে জন্য ক্লিনজ়িং-এর পর গোলাপজল মেখে নেওয়া যেতে পারে। এতে মুখের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলি ছোট হয়ে যায়। ত্বক মসৃণ দেখায়। ঘামের প্রবণতাও কিছুটা কমে।