ছোট থেকেই সিমা আর্ট গ্যালারির সঙ্গে পরিচয়। আজ তিনি পূর্ণবয়স্কা। অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী। সেই শ্রীনন্দাশঙ্কর আবারও সাজলেন সিমা গ্যালারির ‘আর্ট ইন লাইফ’ প্রদর্শনীর পোশাকে।
সারা বছর যেমনই সাজুন না কেন, পুজোর সময়ে বাঙালি সাজ খুব পছন্দ শ্রীনন্দার। তবে তার মানে এমন নয় যে, এই সময়টায় বাকি সব ভুলে যাবেন। বরং পুজোর ছুটিতে কলতাতায় এসে সিমা গ্যালারি থেকে আগেই বেছে নিলেন সুতির একটি খোলামেলা ড্রেস।
পুজো এ বার বেশ গরম, ঘাম, বৃষ্টি— সব নিয়েই কাটবে। তার মধ্যে একটি সুন্দর ফুরফুরে জামা বন্ধুদের সঙ্গে রাতভর আড্ডার জন্য এক্কেবারে মানানসই, মনে করেন শ্রীনন্দা।
তাই বলে কি সাজ কম হব নাকি? মোটেই না। হাল্কা রঙের জামার সঙ্গে বেছে নিয়েছেন রংবেরঙের পুতি আর পাথর দিয়ে তৈরি হার। সঙ্গে মানানসই চুড়ি। স্টেটমেন্ট গয়না এখনও ‘ইন’ মনে করেন শ্রনন্দা।
তবে হার যদি পরতে ইচ্ছা না হয়? সে ব্যবস্থাও করা আছে। একদম অন্য রকম একটি রঙের স্কার্ফ রাখা রইল। গলায় জড়িয়ে নিলেই হবে শ্রীনন্দার সাজ সম্পূর্ণ।
তাই বলে পুজোয় সিল্কের শাড়ি হবে না একটি? তা কি হয়? আধুনিকা হলেও, মনে-প্রাণে যে বাঙালি। সিল্কের শাড়ি ছাড়া পুজো জমে নাকি?
সিমা গ্যালারি থেকেই বেছে নিলেন সাদা-কালো সিল্ক। দক্ষিণী মেজাজ, পশ্চিমী ধাঁচ তার। যেমন পুজোর সন্ধ্যায় মানায়, তেমন মানায় শ্রীনন্দার মুম্বইয়ের জীবনের সঙ্গে।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, একেবারে অন্য কোনও রঙের ব্লাউজ় পরবেন। হলুদ একটি বাছাও হল। কিন্তু কালো ব্লাউজ় আর সাদা-কালো শাড়িতেই সবচেয়ে রঙিন হয়ে উঠল সুন্দরীর হাসি।
সঙ্গে পরলেন রুপোর গয়না। মেজাজে কিছুটা আধুনিক, খানিক সাবেক ছোঁয়াও রইল।
পুজো মানেই যে অতি-রঙিন হতে হবে সাজ, তা যে সকলে মনে করেন না। শ্রীনন্দার সাজ দেখিয়ে দিল, রং ছাড়াও কী ভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা যায় উৎসবের মরসুমে।
উৎসবে মাততে মাঝেমধ্যে এক্কেবারে বাঙালি সাজ খুব পছন্দ শ্রীনন্দার।
এ বছর বেছে নিয়েছেন সিমা গ্যালারির ‘আর্ট ইন লাইফ’ প্রদর্শনী থেকে একটি টিস্যু শাড়ি।
শাড়িটি দেখেই শ্রীনন্দা বলতে থাকেন, এর সঙ্গে টিপ পরবেন। তা হলে তাঁর সাজ হবে আরও উজ্জ্বল।
যেমন কথা, তেমন সাজ। পরে নিলেন সাবেক স্বাদের লাল টিপ। হাল্কা লিপস্টিক। আর টিস্যু শাড়ি।
পুজোর বিশেষ আমেজ আনতে তার সঙ্গে গা জুড়ে রইল সোনার গয়না। দেবীপক্ষে সিমার সাজে রূপ উজ্জ্বল হল উমার মতোই মুম্বই থেকে ঘরে ফেরা শঙ্কর পরিবারের কন্যা শ্রীনন্দার।