Durga Puja Saree Trend

কোন শাড়ি পুজোয় ‘ইন’, কী পরলে মণ্ডপে আপনিই হবেন চুম্বক? শেষ মুহূর্তের সাজেশনে চোখ রাখুন

সারা বছর দশ হাতে সংসার আর কর্মক্ষেত্রের দায়িত্ব সামলেও পুজোর সময়ে ফ্যাশনে বিচ্যুতি চান না বাংলার দশভুজারা। সেখানেও তাঁদের পারফেক্ট হওয়া চাই। তাঁদের কথা ভেবেই আনন্দবাজার ডট কমে শেষ মুহূর্তের ‘সাজেশন’ সাজিয়ে দিলেন মুম্বই থেকে কলকাতার বুটিকের পোশাকশিল্পীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৩১
Share:
০১ ২১

পুজোর ফ্যাশন কেমন হবে? ফ্যাশনদুরস্ত ‘নায়িকা’রা বলতে পারেন, ‘যা পরব, তা-ই ফ্যাশন’! কিন্তু যে মেয়েটি সকাল থেকে রাত অফিসের ডেস্কে বসে কাটিয়ে দেন? সাজতে তিনিও কম ভালবাসেন না! সারা বছর যেমনই কাটুক, পুজোর ক’টা দিন ভিড়ের মধ্যে নজর কাড়তে চান সেই মেয়েটিও। চান প্রিয়জনের চোখে এবং নিজস্ব আয়নায় ‘নায়িকা’ হতে। কিন্তু সংসার, স্বামী-সন্তান, অফিস, বয়স্ক বাবা-মা কিংবা নিজের চেষ্টায় দাঁড় করানো ব্যবসা দশ হাতে সামলে ট্রেন্ডের খবর নেওয়ার ফুরসত হয় না তাঁর । তিনি বা তাঁর মতো অনেকেই হয়তো ঠিক করে উঠতে পারেননি, ষষ্ঠীর সকাল, সপ্তমীর সন্ধে, অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর রাত অথবা দশমীর বরণে কোন শাড়ি কী ভাবে পরবেন? তা বলে কি ফ্যাশনে কী ‘ইন’, তা না জেনেই পুজোর সাজগোজ হবে? মোটেই না। বাংলার দশভুজাদের জন্য আনন্দবাজার ডট কমে শেষ মুহূর্তের ‘সাজেশন’ সাজিয়ে দিলেন খ্যাতনামী সব বুটিকের পোশাকশিল্পীরা।

মডেল: শ্রমণা সাহা। ছবি: সিদ্ধার্থ দাস এবং দেবজ্যোতি ভদ্র। বুটিক: উৎসব।

০২ ২১

পুজো মানে চৌকাঠে আল্পনা। ঠাকুরদালানের চাতালে ঝুড়িতে ১০৮ পদ্ম। রেডিয়োতে ‘মহিষাসুরমর্দ্দিণী’। দূরাগত শাঁখের আওয়াজ। ঢাকের বাদ্যি। বাতাসে ধুনোর গন্ধ। এই সব কিছু ১২ হাতের ক্যানভাসে বন্দি করেছেন ‘সুতা’র সু-সুজাতা বিশ্বাস এবং তা-তানিয়া বিশ্বাস। বাংলার পুজোর চিরকালীন শুভ রং— সাদা-লাল। সেই রং মিলন্তিতেই দুধ সাদা মল কটনের উপর লাল আর ম্যাট সোনালি ব্লক প্রিন্ট। শাড়িটি অনায়াসে ষষ্ঠীর বোধন বা অষ্টমীর অঞ্জলির সাজ হতে পারে। পাশের ডোলা সিল্কে গামছা চেকের শাড়িটি হতে পারে দশমীর ঠাকুর বরণের জন্যও আদর্শ।

মডেল: সুজাতা বিশ্বাস এবং তানিয়া বিশ্বাস। ছবি: সুতা। বুটিক: সুতা।

Advertisement
০৩ ২১

দেখে মনে হতে পারে গাউন। কিন্তু এটি একটি আদ্যোপান্ত সুতির শাড়ি। শুধু তার কুঁচিতে সেফটিপিন বসানোর বা আঁচলে প্লিট করার ঝক্কি নেই। শাড়ি পরতে যাঁরা অভ্যস্ত নন, তাঁদের কাছে ১২ হাতের কাপড় সামলানো খানিকটা চ্যালেঞ্জের মতোই। সেই ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে শাড়ি পরার ব্যবস্থা করেছে সুতা। তৈরি করেছে শাড়ি গাউন। কুঁচি-আঁচল সবই ছুঁচ-সুতোর ফোঁড়ে নিরাপদে জুড়ে দেওয়া। কেবল গলিয়ে নেওয়ার অপেক্ষা। বাড়তি পাওনা? শাড়ি গাউনে থাকছে পকেটও।

মডেল: সুজাতা বিশ্বাস। ছবি: সুতা। বুটিক: সুতা।

০৪ ২১

পুজোর সকাল এক রকম আর রাতের রূপ আলাদা। আকাশের আলো নিভে এলেই পুজোর মণ্ডপে, রাস্তাঘাটে আলোর রোশনাই, থিমের জাঁকজমক। তার মধ্যে নজর কাড়তে সাজও জমকালো হওয়া দরকার। সুতা পুজোর জমকালো সন্ধ্যার জন্য বেছে নিয়েছে রেশম সুতোর শাড়ি। নরম সিল্কের জমিতে জরির বিন্দুর মতো বুটি। সঙ্গে ঢালা চওড়া জরি পাড়। মরচে খয়েরি আর ঘন বেগনি, যে রঙটিই পরুন, এ শাড়িতে চোখে না পরাটাই অসম্ভব।

মডেল: সুজাতা বিশ্বাস এবং কিয়ারা । ছবি: সুতা। বুটিক: সুতা।

০৫ ২১

অফিস ছুটি থাক বা না থাক, পুজোর সকালগুলো গুছিয়ে বসে আড্ডা দেওয়ার। অফিসে থাকলে কাজের ফাঁকেই সেই আড্ডা চলে। চলে ফটো সেশন, খাওয়াদাওয়াও। ছুটি থাকলে কোনও এক বন্ধুর বাড়ি বা ক্যাফেতে বন্ধুর দলের মজলিস। সুতা-র এই শাড়িতে গুছিয়ে বসে পুজোর আড্ডা দেওয়ার সেই মজলিসি আবেদন আছে। যেখানে একাধারে রয়েছে সুতির শাড়ির আরাম আবার স্মার্ট-ক্যাজ়ুয়ালের কেতাদুরস্ততাও।

মডেল: সুজাতা বিশ্বাস এবং কিয়ারা । ছবি: সুতা। বুটিক: সুতা।

০৬ ২১

বিদ্যাসাগর পেড়ে শাড়ি। সাদা খোল। ঢালা লাল পাড়। মাঝে রেশমি সুতোয় বোনা একটি লাইন— ‘বেঁচে থাক বিদ্যাসাগর চিরজীবী হয়ে’। নতুন নকশা নয়। বাংলার নারীর শাড়ির পাড়ে এই শব্দ বোনা হয়েছিল বহু বছর আগে। বিধবাবিবাহ আইন চালু হওয়ার পরে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে সম্মান জানিয়ে ওই শাড়ি বুনেছিলেন শান্তিপুরের তাঁতিরা। একটা সময়ের পর সেই শাড়ি হারিয়েই গিয়েছিল। আবার ফিরছে। পরমার পুজোর সংগ্রহে লালপেড়ে সাদা শাড়ির সংগ্রহে থাকছে ‘বিদ্যাসাগরপেড়ে’ শাড়ি।

মডেল: স্বস্তিকা । ছবি: দেবর্ষি সরকার । বুটিক: পরমা

০৭ ২১

এ শাড়ির নাম সাদা-লাল করাত ফুল। করাত নকশা সাধারণত দেখা যায় জামদানি শাড়িতে। তাঁতের টানাপড়েনে তৈরি হয় করাতের খাঁজকাটা নকশার আদলে ফুল-পাতা। এখানে অবশ্য তাঁত নয়, সিল্কের শাড়িতে রেশমের সুতোয় বোনা হয়েছে করাত ফুলের মোটিফ। তসর রঙের শাড়িতে সাদা লেস আর লাল ফিতে পাড়ের নকশা মনে পড়িয়ে দেবে ষাটের দশকের শাড়ির ফ্যাশন।

মডেল: সহেলি রায় চৌধুরি । ছবি: দেবর্ষি সরকার। বুটিক: পরমা।

০৮ ২১

এক কালে পুজোর দিন মানেই মা-জেঠিমাদের দেখা যেত লালপাড় গরদের শাড়িতে। পায়ে আলতা আর ঢালা লাল গরদের পাড়ে প্রতিমার মতোই দেখাত তাঁদের। সেই গরদ এ বছরের পুজোয় নতুন করে ফিরছে। চেনা লালপাড়ের বদলে পাওয়া যাচ্ছে রঙিন গরদ। পরমা-র সংগ্রহের এই গরদের শাড়িটির জোড়া পাড়। গাঢ় লালের সঙ্গে রয়েছে কালোও। তার সঙ্গে শাড়ি জুড়ে বালুচরি নকশার আদলে রঙিন সুতোয় হাতে বোনা কলকা মোটিফ।

মডেল: সহেলি রায় চৌধুরি । ছবি: দেবর্ষি সরকার। বুটিক: পরমা।

০৯ ২১

বাংলার পুজো মানে যতটা ফ্যাশন, ততটাই খাওয়াদাওয়া। আর বাঙালির খাওয়া মানে শেষপাতে মাটির ভাঁড়ে লালচে মিষ্টিদইও জরুরি। এ বার ভাবুন তো, সেই প্রিয় মিষ্টির রং যদি পোশাকে ধরা যায়, কেমন হবে? পরমা ধরেছে। তার পুজোর সম্ভারের রয়েছে মিষ্টিদই-মারিগোল্ড গরদ শাড়ি। মিষ্টিদই তো বোঝা গেল, কিন্তু মারিগোল্ড! গাঁদাকে ফ্যাশনে আনার চেষ্টা কমই দেখা গিয়েছে। পরমা তার মিষ্টিদই রঙা গঙ্গা-যমুনা পাড় গরদ শাড়িতে রেখেছে গাঁদা ফুলের মোটিফ। এ শাড়ি অষ্টমীর সকাল বা নবমীর রাত, যে কোনও সময়েই নজর কাড়বে।

মডেল: সহেলি রায় চৌধুরি । ছবি: দেবর্ষি সরকার। বুটিক: পরমা।

১০ ২১

বঙ্গদেশে উৎসব বললে প্রথমেই কী মাথায় আসে? দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপুজো মানে ছুটি! সারা বছরের ব্যস্ততার মধ্যে চারটে দিন অখণ্ড অবসর। যার দিকে তাকিয়ে গোটা বছরটা কাটিয়ে দেন বাংলার মানুষজন। উৎসব বুটিক তাই শারদোৎসবের সূচনা করেছে ছুটির কথা মাখায় রেখেই। ছুটি মানে আরাম। ছুটি মানে নিজের মতো থাকতে পারার বাঁধনহীন স্বাধীনতাও। এই শাড়ি সেই আরাম আর স্বাধীনতা দেবে পুজোর ঠাটবাটের সঙ্গে আপস না করেই। লাল নরম সুতির শাড়ির জমিতে গুজরাতের লাম্বানির স্টিচের ঠাসা রঙিন কাজ। যে কোনও দিন পুজোর সকালে যেমন এই শাড়ি পরা যায়, তেমনই ব্লাউজ়ে বদল এনে এ শাড়ি পরে রাতেও হতে পারেন মোহময়ী।

মডেল: শ্রমণা সাহা। ছবি: সিদ্ধার্থ দাস এবং দেবজ্যোতি ভদ্র। বুটিক: উৎসব।

১১ ২১

পুজো মানে মেলাও। মানুষের মেলা। মিলনোৎসব বা বলা ভাল পুনর্মিলনোৎসব। সারা বছর দেখা করতে না পারা স্বজন-বন্ধুদের পুনর্মিলন। কারণ, মেলার নাগরদোলার মতোই জীবনও আকাশপাতাল ঘুরিয়ে শেষমেশ নামিয়ে দেয় মাটিতেই। উৎসবের শাড়িতে মডেল শ্রমণাও তাই হাজির মেলার মাঠে। পিছনে নাগরদোলা। শাড়ির জমিতে সবুজের ডাক। পাড়ে খুশির রঙিন সুতোয় বোনা জ্যামিতিক নকশা। আর জমি জুড়ে ছোট ছোট আয়নার বুটিতে পুজোর আলোর ঝিকিমিকির প্রতিফলন।

মডেল: শ্রমণা সাহা। ছবি: সিদ্ধার্থ দাস এবং দেবজ্যোতি ভদ্র। বুটিক: উৎসব।

১২ ২১

সাদা-লাল ছাড়া বাঙালি মেয়েদের পুজোর সাজ সম্পূর্ণ হয় না। আর কিছু না হোক, অষ্টমীর সকালের অঞ্জলির শাড়িতে ওই রংমিলন্তি না হলে মন ভরে না। তবে উৎসব নিজেকে সাদা-লালের চেনা ছকে বাঁধেনি। তাদের ফিতে লাল পাড় ফুলিয়ার তাঁতে ফুটেছে অচেনা সব ফুল। গোলাপি, হলুদ কমলা, লাল রঙের। শাড়ির নাম তাই ‘ফ্লোরাল ব্লুম’। অষ্টমীর সকালের সাজে এই শাড়ির সঙ্গে পরা যেতে পারে বুলিয়ান পার্সি কাজের লাল হল্টারনেক ব্লাউজ়টি। কপালে লাল টিপের সঙ্গে কানেও থাকুক ফুল।

মডেল: শ্রমণা সাহা। ছবি: সিদ্ধার্থ দাস এবং দেবজ্যোতি ভদ্র। বুটিক: উৎসব।

১৩ ২১

মা দুর্গার না হয় দশ হাত, মর্ত্যের ‘দশভুজা’দের তো কেবল দু’টি। অথচ হাজার রকমের কাজ দশহাতেই সামলাতে হয় তাদের। সেই কাজ সহজ করতে সাহায্য করবে পকেট শাড়ি। উৎসব বুটিক জানাচ্ছে, পকেট তাঁদের কাছে নারীর ক্ষমতায়নের মতো। পকেট নিজে অস্ত্র না-ই হতে পারে, কিন্তু অস্ত্র রাখতে সাহায্য তো করতে পারে (কে না জানে, এই জমানায় তা কত জরুরি)। দশহাতে করার কাজকে দু’হাতে সম্পন্ন করতেও সাহায্য করে পকেট। নারীশক্তিকে উদযাপনের উৎসবে তাই উৎসব শাড়িতে জুড়েছে সুতোর কাজ করা নকশি পকেট। অবশ্য তার জন্য শাড়িকে সেলাই করতে হয়নি। উৎসবের পকেট শাড়িতে শাড়ি তার নিজের মতো থেকেই পেয়েছে তার পকেটকে।

মডেল: শ্রমণা সাহা। ছবি: সিদ্ধার্থ দাস এবং দেবজ্যোতি ভদ্র। বুটিক: উৎসব।

১৪ ২১

গাঢ় রানি গোলাপি রঙের হাতে বোনা গাছি তসর। সে কাপড়ের রং, তার ঔজ্জ্বল্য এমনিই ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে নজরে পড়ে। তার উপরে এই শাড়িতে গুজরাতের রঙিন সুতোর লাম্বানি কাজ করিয়েছে এথনিক বুটিক। লম্বানি স্টিচের কাজ এ বছর বাজারে গেলেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলার কাঁথা স্টিচের মতোই রঙিন সুতোর এই নকশা কাজ বাঙালি শৌখিনীদের মনে ধরেছে। মানুষ কিনছেনও বেশি। এথনিক বুটিকের এই শাড়ি সপ্তমীর সন্ধ্যার জমকালো সাজ হতে পারে।

ছবি: এথনিক বুটিক।

১৫ ২১

ঐতিহ্যবাহী শাড়ির কদর শাড়িপ্রেমীদের কাছে কমে না কখনও। তাই পুজো এলে বাংলার জামদানি, বিষ্ণুপুরী সিল্ক, বালুচরী, স্বর্ণচরীর মতো অন্য প্রদেশের ঐতিহ্যবাহী শাড়িরও চাহিদা বাড়ে। কেউ মহারাষ্ট্রের পৈঠানীর খোঁজ করেন তো কেউ চান খাঁটি সিল্কে বোনা কাঞ্জিভরম শাড়ি। সেই ঐতিহ্যবাহী কাঞ্জিভরমকে একটু অন্য রকম ভাবে সাজিয়েছে এথনিক বুটিক। রাজকীয় কাঞ্জিভরম শাড়ির পাড়ে তারা করেছে কাটওয়ার্ক করা জারদৌসি নকশা। জমিতেও কাঞ্জিভরমের কলকার শোভা বাড়িয়েছে জরির কাজ। পুজোর সবচেয়ে জমকালো সাজ রাখা থাকে অষ্টমীর জন্য। এই শাড়ি অষ্টমীর রাত আলো করে রাখবে।

ছবি: এথনিক বুটিক।

১৬ ২১

এই শাড়ি পুজোর শেষ রাতের মেজাজকে ধরতে পারে। পুজোর শেষ রাত মানে নবমী। সে দিন বিগত তিন দিনের আনন্দ যেমন থাকে, তেমনই থাকা পুরনো সাদা-কালো জীবনে ফিরে যাওয়ার বিষাদ। নবমীর রাতে তাই উৎসবের রঙের সবটুকু শুষে নিয়ে রঙিন হতে চায় মন। এই শাড়ি সেই রঙিন হওয়ার ইচ্ছেকে উসকে দেয়। এথনিক বুটিক বলছে, এ যুগের ছেলেমেয়েরা এমন পোশাক পরতে ভালবাসে, যা তাদের চেহারার গড়নকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলে। গাঢ় মভ রঙের সাটিনের এই শাড়ি সেই আবেদন ফুটিয়ে তুলবে অনায়াসে। পার্টি হোক বা পুজোর রঙিন রাত— সবেতেই সঙ্গ দেবে শাড়িটি।

ছবি: এথনিক বুটিক।

১৭ ২১

পুজো মানেই জমকালো বা রঙিন সাজ ভাবেন যাঁরা, তাঁদের ঠিক উল্টো মেরুতে থাকেন আর এক দল শৌখিনী। যাঁদের কাছে সাজ মানেই সাদা। দোকানে সাদা শাড়ি পেলে তাঁরা অন্য শাড়ি দেখেন না। সাদা পোশাক দেখলে— সব ছেড়ে সে দিকেই ছোটেন। শারদোৎসবে তাঁদের জন্য এই শাড়িটি বানিয়েছে অরণ্য। সবুজ নরুন পাড় অফ হোয়াইট খোলের শাড়ি জুড়ে আয়না চেক। মাঝে হালকা জামদানি নকশার মোটিফ। সবুজ ব্লাউজ়ের সঙ্গে মাথায় জুঁই ফুল দিয়ে এই শাড়ির সাজ সম্পূর্ণ করেছেন মডেল দীপশিখা। তাঁকে দেখাচ্ছে একটি সাদা স্থলপদ্মের মতো।

মডেল:দীপশিখা দাস । ছবি: চন্দনী বসু। বুটিক: অরণ্য।

১৮ ২১

অরণ্য-এর এই শাড়িতেও রয়েছে চেক নকশা। কালো জমিতে সরু লাল সুতোর ছোট ছোট চেক। পাড়ে জামদানি করাত কাজের জ্যামিতিক নকশা। লাল-কালোর বৈপরীত্য চিরকালই পছন্দ শিল্পীদের। কারণ, এই রং শক্তির প্রতীক, এই রংমিলন্তিতে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। কিছু না হলে লাল কালো থাকলে সাজ ভাল হবেই— জানেন সকলে। পুজোর শাড়িতে তাই সেই চিরকালীন রঙের বৈপরীত্যে ভরসা রেখেছে অরণ্যও।

মডেল: দীপশিখা দাস। ছবি: চন্দনী বসু। বুটিক: অরণ্য।

১৯ ২১

পুজোর সাদা শাড়িতে কি শুধু লালেরই নকশা থাকতে হবে? বাঁশি বুটিক অন্তত তা মনে করে না। তাদের পুজোর সম্ভারে সকালে পরার যে সাদা শাড়িটি রাখা হয়েছে, তার ফিনফিনে সিল্ক মসলিনের জমি জুড়ে রঙিন ফুলের নকশা। লতানো কালচে সুতোর মৃণালে জড়িয়ে রয়েছে গোলাপি-হলুদ পদ্ম।

মডেল: শাল্মলী চৌধুরি । ছবি: অদিতি সরকার। বুটিক: বাঁশি।

২০ ২১

পুজোর শাড়ি আর কাঁথা স্টিচের শাড়ি থাকবে না, তা-ও কি হয়। বাঁশি পুজোর সাজ তৈরি করেছে টাই অ্যান্ড ডাই তসরের উপর কাঁথা স্টিচের আল্পনা দিয়ে। পিচ রঙা তসরে গাঢ় নীল রঙের ডাই করা পাড়। তার উপর সাদা, নীল, লাল, হলুদ সুতোর নকশিকাঁথা। শাড়িটি ব্লাউজ়ের হেরফেরে হয়ে উঠতে পারে পার্টিওয়্যারও।

মডেল: শাল্মলী চৌধুরি । ছবি: অদিতি সরকার। বুটিক: বাঁশি।

২১ ২১

বাঁশির পুজোর সম্ভারে এ বার জামদানি নকশা করা সিল্ক মসলিনই বেশি। তবে এই শাড়িতে মসলিনের সঙ্গে মিলেছে মটকা তসর। বেগনি রঙের ১২ হাতের জমির অর্ধেক জুড়ে স্বচ্ছ মসলিনের ক্যানভাসে সাদা রেশম সুতোর জামদানি লতাপাতা। বাকি অর্ধেকে উজ্জ্বল আভিজাত্যে ভরা মটকা তসর শৌখিনীদের মন কাড়তে বাধ্য।

মডেল: শাল্মলী চৌধুরি । ছবি: অদিতি সরকার। বুটিক: বাঁশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement