শীতের দিনে সোরিয়াসিসের জ্বালা বাড়ে, কী ভাবে যত্ন নেবেন ত্বকের? ছবি: ফ্রিপিক।
সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ আতঙ্কের। এক বার হলে তা সহজে সারতে চায় না। সোরিয়াসিস সাধারণত নির্মূল হয় না, এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। কিন্তু শীতকাল এলেই বিপদ। যাঁরা সোরিয়াসিসে ভুগছেন, তাঁরা বিলক্ষণ জানেন ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক আরও বেশি রুক্ষ, খসখসে হয়ে যায়। আঁশের মতো ছাল উঠতে শুরু করে। সেখানে ভয়ঙ্কর জ্বালা, চুলকানি হয়। সোরিয়াসিসের সমস্যা বাড়লে বাজারচলতি ক্রিম বা মলম লাগানো উচিত নয়। শীতের সময়ে কী ভাবে এই চর্মরোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, সে উপায় জেনে রাখা জরুরি।
কোথায় হয় সোরিয়াসিস?
দুই হাতের চামড়ায় হতে দেখা যায়। কনুই, হাঁটু এমনকি মাথার ত্বকেও সোরিয়াসিস হতে পারে। শরীরের এক জায়গায় হলে সেখান থেকে দ্রুত অন্য জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে। মাছের আঁশের মতো চামড়া উঠতে শুরু করে। অনেক সময়ে ঘা হয়ে যায় ত্বকে। শীতের সময়ে জ্বালা ও চুলকানি আরও বাড়ে।
সোরিয়াসিসে গোড়ার দিকে লালচে গুটির মতো প্যাচ দেখা যায়। ধীরে ধীরে ত্বকের এই অংশগুলি পুরু হয়ে ওঠে। কখনও আবার তা অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে থাকে, ছাল ওঠে, চুলকানি হয়। মাথায় অনেক সময়ে অত্যধিক খুশকি দেখা দিলে, সেটাও এই রোগেরই ফল হতে পারে। এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কী ভাবে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?
ত্বকের অনেকটা জায়গা যদি লাল হয়ে ফুলে যায় এবং তার সঙ্গে ব্যথা বা অস্বস্তির ভাব থাকে, তা হলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সোরিয়াসিস কোনও ছোঁয়াচে অসুখ নয়। এটি মূলত জিনঘটিত রোগ। তাই ছোঁয়া থেকে রোগটি ছড়ায় না। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সোরিয়াসিস হলে নিজের ব্যবহার করা তোয়ালে, রুমাল আলাদা রাখাই ভাল। কারণ সোরিয়াসিসের ত্বক এতটাই সংবেদনশীল থাকে, যে হঠাৎ করেই সংক্রমণ ঘটে যেতে পারে।
এই রোগে বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। গ্লিসারিনযুক্ত সাবান বা বেবি সোপ ব্যবহার করা যেতে পারে। ময়েশ্চারাইজ়ার বা নারকেল তেলও এ রোগে বেশ উপকারী।
অ্যালকোহল-যুক্ত মলম বা লোশন ব্যবহার করা ক্ষতিকর হতে পারে।
স্নানের আগে আক্রান্ত স্থানে প্রচুর পরিমাণে নারকেল তেল মেখে স্নান করা উচিত। মাখা যেতে পারে নানা প্রকার ইমোলিয়েন্ট ক্রিমও।