Haldi Chandan for Skin Care

হলুদ-চন্দন মাখার রীতি আজকের নয়, রূপচর্চায় পুরনো টোটকাটি কোন কাজে লাগে?

রূপচর্চার জন্য প্রসাধনীর অভাব নেই। তবু কেন পুরনো দিনের পন্থাও হতে পারে বিশেষ কার্যকর?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫ ১৩:৫৯
Share:

রূপচর্চায় হলুদ এবং চন্দন মাখার পুরনো পন্থা কতটা কাজের? ছবি: সংগৃহীত।

মুখে বলিরেখা পড়ছে? ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়েছে? সিরাম, লোশন, বডি বাটার আছে এমন সমস্যার সমাধানে। যতই দিন যাচ্ছে, রূপচর্চার প্রসাধনীর জগৎ ততই প্রশস্ত হচ্ছে। নিত্যনতুন উপকরণের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে।

Advertisement

কিন্তু যখন এই সব কিছু ছিল না, তখন? রূপচর্চায় ব্যবহার হত দুধ থেকে নিমপাতা, হলুদ, চন্দন, কেশর, গোলাপ-সহ অনেক কিছুই। রূপচর্চায় ফেরাতে পারেন পুরনো সেই পন্থাই। হলুদ এবং চন্দন— ঘরোয়া দুই উপকরণে মুখের যত্ন নিতে পারেন এখনও। জেনে নিন এর উপকারিতা। সপ্তাহে তিন দিন করে তা মাখলে কোন বদল চাক্ষুষ করবেন?

বর্ণ উজ্জল করে: রোদে বেরিয়ে কালচে হয়ে যাচ্ছে মুখ? লাবণ্যও যেন হারিয়েছে। সমস্যার সমাধান করতে পারে হলুদ এবং চন্দন। হলুদের অন্যতম উপাদানই হল কারকিউমিন। ত্বকে মেলানিনের মতো রঞ্জকের আধিক্য কমিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে তা। ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে চন্দনও কিন্তু কম গুণের নয়। মুখের কোনও অংশ একটু বেশি কালচে হয় কারও কারও। ত্বকের অসমান বর্ণ ঠিক করতে সাহায্য করে হলুদ এবং চন্দনের মিশ্রণ।

Advertisement

ব্রণ দূর করে: হলুদে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। ব্রণ দূর করতেও এই ভেষজ কার্যকর। চন্দনেও রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং প্রদাহনাশক উপাদান। ত্বকে ব্রণ, ফুস্কুড়ি হলে যে জ্বালাভাব হয় তা কমাতে সাহায্য করে চন্দন। ছোটখাটো সংক্রমণ সারাতেও এই উপাদান কাজের।

ব্ল্যাক হেড্স: নাকের ডগায়, মুখের বিভিন্ন অংশে ব্ল্যাক হেড্স‌ হয়। ছোট ছোট ব্ল্যাক হেডস সৌন্দর্য নষ্ট করে। প্রাকৃতিক উপায়ে সেটি তোলার ভাল উপায় হতে পারে হলুদ এবং চন্দন বাটা। এর সঙ্গে সামান্য বেসন যোগ করে মুখে মেখে শুকোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হব। তারপর হালকা হাতে ঘষলেই মুখের রোম, ব্ল্যাক হেডস উঠে আসবে। তবে এক বার ব্যবহারে নয়, মাসখানেক এটি মাখলে বদল চোখে পড়বে।

ত্বকের বর্ম: চন্দন এবং হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সঙ্গে কোষকে লড়তে সাহায্য করে। ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে। হলুদের কারকিউমিন প্রদাহনাশক উপাদান। ছোটখাটো সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।

এক্সফোলিয়েশন: ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতেও চন্দন এবং হলুদের মিশ্রণ ভাল। এর সঙ্গে অল্প চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিলে কাজ হবে আরও ভাল। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল পরিষ্কারেও সাহায্য করে চন্দন।

সপ্তাহে তিন দিন করে হলুদ এবং চন্দনের মিশ্রণ মাখলে এক মাসেই ত্বকের দীপ্তি ফিরবে। কমবে সমস্যাও।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। হলুদ এবং চন্দন—দুইয়েরই যথেষ্ট উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের মাস্ক ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট জরুরি। কারও কারও এতে অ্যালার্জিও থাকতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement