প্রয়াগে কুম্ভস্নানের পরে ইশা অম্বানী। ছবি : সংগৃহীত।
দিন পনেরো আগেই দুই পুত্র এবং পুত্রবধূকে নিয়ে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভমেলায় স্নান করতে এসেছিলেন মুকেশ অম্বানী। যদিও ধনকুবের শ্বশুরমশাই এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে প্রচারের সব আলোটুকু কেড়ে নিয়েছিলেন একা রাধিকা মার্চেন্টই। প্রয়াগের তিন নদীর সঙ্গমস্থলে অম্বানীদের ছোট বৌমা ডুব দিয়েছিলেন এক লক্ষ টাকার সালোয়ার-কামিজ় পরে। তাই নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। এ বার মহাকুম্ভে স্নান করলেন অম্বানী পরিবারের আরও এক শৌখিনী সদস্য। তিনি ইশা অম্বানী।
শিবরাত্রি তিথির আগের দিন স্বামী আনন্দ পিরামলের সঙ্গে তিনি এসেছিলেন প্রয়াগরাজে কু্ম্ভস্নান করতে। রাধিকার পোশাক নিয়ে হইচই হওয়ার পরে অনেকেই ভেবেছিলেন, ইশাও তেমন কোনও চমক দেবেন। কারণ, অম্বানী পরিবারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইশা-রাধিকার ননদ-ভ্রাতৃজায়া জুটি প্রায়ই সাজে একে অপরকে টক্কর দেন। কিন্তু দেখা গেল, অম্বানী-কন্যা কুম্ভদর্শনে এসেছেন আপাত-সাধারণ দেখতে একটি কুর্তা পরে।
কুম্ভস্নানের সময় পরেছিলেন একটি নীলের উপর সাদা ছাপের রাজস্থানের বাঁধনি কাজের কুর্তা। ছবি: সংগৃহীত।
ইশার ফ্যাশনবোধের অনুরাগী নেহাত কম নন। দেশের পোশাকশিল্পীরা ইশাকে নিজেদের মডেল বানিয়ে বহু পোশাকের প্রদর্শন করেছেন। ফ্যাশন এবং যাপনের পত্রিকা ‘ভোগ’-এর আন্তর্জাতিক সংস্করণের মলাটের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল ধনকুবের-তনয়া ইশাকে। সেই ইশা কুম্ভস্নানের সময় পরেছিলেন একটি নীলের উপর সাদা ছাপের রাজস্থানের বাঁধনি কাজের কুর্তা। তার উপর রুপোলি জরি এবং পুঁতির হালকা আড়ি কাজ। চোখে সানগ্লাস আর কপালে মেরুন টিপ আর মাথায় একটি পরিচ্ছন্ন পনিটেলে সাজ শেষ।
দু’টি পোশাকেই ইশাকে সুন্দর দেখাচ্ছে বলে রায় দিয়েছেন নেটাগিরেকরা। ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিবেণিতে স্বামীর হাত ধরেই জলে ডুব দিলেন ইশা। পরে তাঁকে দেখা গেল একটি রানি গোলাপি রঙের বাঁধনি কুর্তা পরে আনন্দের হাতে হাত রেখে প্রয়াগের ত্রিবেণি সঙ্গমে দাঁড়িয়ে পুজো দিতে। দু’টি পোশাকেই ইশাকে সুন্দর দেখাচ্ছে বলে রায় দিয়েছেন নেটাগিরেকরা। অনেকে আবার এ-ও বলেছেন, দেখতে সাধারণ হলেও ওই পোশাকের দামও রাধিকার মতোই লাখ টাকার কাছাকাছি হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।