স্বাভাবিক তাপমাত্রা, না কি গরম তেল, কোনটি ভাল? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
বদলাচ্ছে আবহাওয়া। হালকা শীতের আমেজ পরিবেশে। ছুটির দুপুরে বা ক্লান্ত দিনের শেষে ঈষদুষ্ণ তেল মাথায় মালিশ করলে বড়ই আরাম মেলে। কিন্তু নিছক আরামের জন্য এই প্রথার চল শুরু হয়নি। এর একাধিক উপকারিতা রয়েছে। তেল মালিশের সময়ে অনেকেই ছোট্ট এই ধাপের কথা ভুলে যান। কিন্তু তেল হালকা গরম করে নিলে বেশি উপকার মিলতে পারে। তার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
মাথায় মালিশের তেল গরম করার প্রয়োজনীয়তা
১. শোষণক্ষমতা বৃদ্ধি করে: মাথার ত্বকে মালিশের সময়ে সাধারণ তাপমাত্রার তেলের চেয়ে উষ্ণ তেল বেশি ভাল শোষিত হতে পারে। সারা মাথায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে বেশি পরিমাণে। ফলে তেলের পুষ্টিগুণ, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের ভিতর পর্যন্ত পৌঁছোতে পারে।
২. রক্তপ্রবাহ উন্নত করে: তেলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাথার ত্বকের রক্তনালীগুলি বেশি প্রসারিত হতে পারে। ফলে রক্তপ্রবাহ বেশি ভাল হয়। রক্তপ্রবাহ উন্নত হলে অক্সিজেন এবং পুষ্টি উপাদান বেশি পৌঁছোবে ত্বকে।
৩. চাপ কমিয়ে আরাম দেয়: স্নায়ুতন্ত্র শান্ত করার ক্ষমতা রয়েছে এই প্রথার। মাথা ব্যথা কমিয়ে, চাপ কমিয়ে আরাম দেয় গোটা শরীরে। ঘুমের মানও ভাল করতে পারে।
৪. চুলের গোড়া মজবুত করে: গরম তেল মাথায় মালিশ করলে গোড়া মজবুত হয়, চুলের ভাঙন কমে। ফলে চুলের আগা ফাটার সমস্যা থাকলে কমিয়ে দিতে পারে। চুল ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও কমে যেতে পারে।
৫.ত্বকের শুষ্কতা কমায়: শুষ্ক, রুক্ষ মাথার ত্বকে হালকা গরম তেল মাসাজ করলে আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কেবল মাথার ত্বক নয়, প্রতিটি চুলেও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। রেশমের মতো কোমল অথচ মজবুত চুল পেতে পারেন এই টোটকায়।