বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ছবি : সংগৃহীত।
যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। সদ্য বিশ্বকাপ জয়ী ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ব্যাপারেও এ কথা বলা যায়। ক্রিকেট মাঠের পাশাপাশি ফ্যাশনের জগতের মার্জারসরণিতেও তিনি চালিয়ে খেলেছেন। স্টাইলে নজর কেড়েছেন। ভারতীয় দুই খ্যাতনামা পোশাকশিল্পীর ফ্যাশন শোয়ে হয়েছেন শো-স্টপার! তা-ও আবার খাস কলকাতার বুকে।
সেটা ২০২২ সাল। তত দিনে হরমনপ্রীত ভারতের মহিলাদের টি২০ দল, টেস্ট দল এবং ওয়ান ডে দলের অধিনায়কত্ব করে ফেলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে দল কমনওয়েলথে রুপো এবং এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে ফেলেছে। সে বছরই এক শীতের সন্ধ্যায় হরমনপ্রীত কলকাতায় আসেন এবং পোশাকশিল্পীদ্বয় শান্তনু আর নিখিলের নকশা করা পোশাকে র্যাম্পে হেঁটে অবাক করে দেন।
পোশাকশিল্পীদ্বয় শান্তনু এবং নিখিলের হয়ে হরমনের ফটোশুট ভাইরাল হয়েছিল।
ফ্লেয়ার্ড সাদা ট্রাউজ়ার্সের সঙ্গে ক্রপড জ্যাকেট আর স্পোর্টস ব্রা পরে খোলা চুলে যখন তিনি হাঁটতে শুরু করলেন, তখন তাঁকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল না তিনি মডেল নন। পাশে বলিউডের অভিনেতা রাজকুমার রাও এবং অভিনেত্রী পত্রলেখা পালও ছিলেন। তবে হরমনপ্রীতই ছিলেন ওই ফ্যাশন শোয়ের আকর্ষণ বিন্দু।
বিভিন্ন ফ্যাশন ফোটোশুটও করেছেন হরমনপ্রীত।
ক্রিকেটারদের মডেলিং করা নতুন কোনও ঘটনা নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি থেকে শুরু করে যুবরাজ সিংহ হয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেখা গিয়েছে মার্জার সরণিতে হাঁটতে। মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামীকেও মডেলিং করতে দেখা গিয়েছে। তবে হরমনকে ফ্যাশন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ফ্যাশনে আমার আগ্রহ ছিলই। আমি র্যাম্পে নেমেছি আমার ফ্যাশন বোধকে আরও একটু আপগ্রেড করে নিতে। তাই সেই সুযোগ যখন এল, তখন হ্যাঁ বলতে দেরি করিনি। ভবিষ্যতেও যদি কখনও এমন সুযোগ পাই তবে আবার আমাকে মার্জার সরণিতে বা ফ্যাশন শুটে দেখতে পাবেন।’’
ফ্যাশনে বরাবরই আগ্রহ ছিল, বলেছেন হরমনপ্রীত।
হরমনপ্রীতকে দেখা গিয়েছেও। পরে আরও বহু পোশাকশিল্পীর হয়েই র্যাম্পে হেঁটেছেন তিনি। ফ্যাশন ম্যাগাজ়িনের কভার শুটও করেছেন। শান্তনু আর নিখিলের সঙ্গে তাঁর একটি ফ্যাশন শুট ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সমাজমাধ্যমে। কারণ, হরমনপ্রীত শুধু ডিজ়াইনার পোশাক পরেননি, তা আত্মস্থও করেছিলেন সুন্দর ভাবে।
ফ্যাশন পত্রিকার ফোটোশুটে হরমনপ্রীত।
ক্রিকেটের দৌলতে তাঁকে দেশের নীল জার্সিতেই অধিকাংশ সময় দেখা যায়। কিন্তু তাঁর কাছে ফ্যাশন কী? এ প্রশ্নের জবাবে হরমন বলেছিলেন, ‘‘আমার কাছে স্বাচ্ছন্দ্যই হল ফ্যাশন। যে পোশাকটি পরে আমি স্বচ্ছন্দে থাকতে পারব। পোশাক নিয়ে চিন্তা করতে হবে না এবং আরামে থাকতে পারব, সেটাই আমার কাছে ফ্যাশন।’’ কোনও গুরুগম্ভীর কথা নয়। দেশের জার্সি নিয়েও কোনও আবেগের বাড়াবাড়ি নয়, হরমন যা বলেছেন, তা যে কোনও ফ্যাশনেরই মূল কথা। যা সর্বদা মাথায় রাখতে হয় নামীদামি ব্র্যান্ডকেও।