এখনও 'সিঙ্গল' থাকবেন কি না ভেবে দেখুন। ছবি: শাটারস্টক
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্টের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে যে সকল ‘সিঙ্গল’ নারী-পুরুষ নিজেদের সন্তান পেতে চান, কিন্তু শুধুমাত্র উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে না পাওয়ার কারণে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারছেন না, তাদের শারীরিক ভাবে ‘অক্ষম’ বলে বিবেচনা করা হবে।
এই নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে ডাক্তারি পরিভাষায় বন্ধ্যাত্ব কেবল মাত্র একটি শারীরিক সমস্যা বলে আর বিবেচিত হবে না। পরিবেশ পরিস্থিতি সব কিছু মিলিয়ে একটা সামগ্রিক ধারণার জন্ম দেবে। বন্ধ্যাত্বের সংজ্ঞা বদলে দিয়ে ‘হু’ একে ‘অক্ষমতা’ বলেও অভিহিত করতে পারে বলে জানা গেছে। কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়া ১২ মাস বা তার বেশি সময় ধরে নিয়মিত সঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক থাকলেও যদি মহিলা সঙ্গী গর্ভধারণ করতে না পারেন, তবে তাকে ‘বন্ধ্যাত্ব’ বা ‘অক্ষমতা’ বলেই বিবেচনা করা হবে।
এর সঙ্গেই উপযুক্ত যৌন সঙ্গী খুঁজে না পাওয়া গেলে বা পর্যাপ্ত যৌন সম্পর্ক না থাকলে, তাও বিবেচিত হবে শারীরিক অক্ষমতা হিসেবেই।
আরও পড়ুন: মাতৃগর্ভে থাকাকালীন শিশু কেন লাথি মারে জানেন?
বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ দেশেই বন্ধ্যাত্ব একটি অক্ষমতা হিসাবে বিবেচিত হয় এবং বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া দেশের মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতেও অনেক সময় সক্ষম হন না। এ ছাড়াও বন্ধ্যাত্বকে অনেক ক্ষেত্রে ‘অভিশাপ’ বা ‘কলঙ্ক’ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। তাই শারীরিক ভাবে সুস্থ কোনও মানুষও যদি উপযুক্ত যৌন সঙ্গী খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন বা দীর্ঘ যৌন সম্পর্কের পরেও সন্তান ধারনের পরিস্থিতিতে পোঁছাতে না পারেন, তাহলে তাদেরকেও ‘অক্ষম’ হিসেবে গণ্য করার নিদান দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর ফলে সন্তানহীন দম্পতিদের প্রতি বা সন্তানধারণে অক্ষম দম্পতিদের প্রতি সমাজের চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গী বদলাবে বলেই ধারনা ‘হু’-এর।
আরও পড়ুন: হাতের লেখাই বলে দেবে আপনি কেমন মনের মানুষ, দেখে নিন ফলাফল
এই নিয়মের ফলে সমকামী পুরুষ ও মহিলাদের মতো অন্য লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত ব্যক্তি যাঁরা সন্তান ধারণ করতে চান তাঁরাও কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থার সুবিধা পেতে আগ্রহী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী বছরের মধ্যে সমস্ত দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এই নতুন প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। এই নতুন নির্দেশিকার ফলে বাণিজ্যিক ভাবে ‘সারোগেসি’ বা অর্থের বিনিময়ে গর্ভ ব্যবহারের প্রচলনকে আরও জনপ্রিয় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।