সব ইন্ডাস্ট্রির মতো ফ্যাশন দুনিয়াতেও ছাপ ফেলেছে অতিমারি, নেতিবাচক ও ইতিবাচক, দুই অর্থেই। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি যেমন হয়েছে, তেমনই আবার স্টাইল, কাটে নতুন ছোঁয়া লেগেছে। ওয়েস্টার্ন, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন বা পুরোদস্তুর ভারতীয় পোশাকেও বেল স্লিভসের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। ফ্যাশন ডিজ়াইনার অভিষেক দত্ত বলছিলেন, ‘‘এখন ট্রেন্ডে রিল্যাক্সড ফ্যাশন। এই চাপের সময়ে সকলেই চাইছেন একটু হালকা ঢিলেঢালা পোশাক পরতে। যে কারণে কাফতান এ বার খুব হিট। তেমনই বেল স্লিভস জনপ্রিয় হয়েছে।’’
প্রতিটি ফ্যাশনই ঘুরে ফিরে আসে। রেনেসাঁসের সময়ে বেল স্লিভসের ফ্যাশন শুরু হয়েছিল। জামার হাতার কাট বেল বা ঘণ্টার মতো হওয়ার জন্যই এর নাম বেল স্লিভস। প্লেন বেল কাট, তিন-চারটে লেয়ারে, রাফল বা অ্যাসিমেট্রিক কাটের প্রাধান্য এই স্লিভসে। লং, মিড, শর্ট পছন্দমতো স্টাইল বেছে নিতে পারেন। ওয়েস্টার্ন লং বা শর্ট ড্রেসের সঙ্গে যেমন বেল স্লিভস মানানসই, তেমনই ভারতীয় কাটের পোশাকেও এই স্টাইল দিব্যি মানিয়ে যায়। শাড়ির সঙ্গে বেল স্লিভস ব্লাউজ় পরলে স্টাইলিশ দেখাবে, ভিন্টেজ এফেক্টও আসবে। ঘেরওয়ালা বা স্ট্রেট কাট কামিজের হাতেও বেল স্টাইল দেখতে বেশ লাগে।
অনেকের মনে হতে পারে, হাতাটা যেহেতু ফোলা তাই হয়তো ভারী চেহারায় এই স্টাইল মানাবে না। তবে অভিষেকের কথায়, ‘‘ভারী চেহারা মানে আপার আর্মসও ভারী। সে ক্ষেত্রে বেল স্লিভস ক্যামোফ্লাজ় করবে। সব ধরনের চেহারাতেই এই স্লিভস মানিয়ে যায়। শুধু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জিনিসটা ক্যারি করতে হবে।’’ ফ্যাশন ডিজ়াইনার জানালেন, আগামী দিনেও এই স্টাইল থাকবে। জামার হাতা নিয়ে আরও এক্সপেরিমেন্ট হবে। যেমন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে লম্বা হাতার বেলুন স্লিভস, লেগো মাটন স্লিভস ইত্যাদিও।