Bihar Woman

‘তুমি মরো-বাঁচো আমার কিছু যায়-আসে না’, দুই কিডনি হারানো স্ত্রীকে ছেড়ে পালালেন স্বামী

৩৮ বছর বয়সি সুনীতা বর্তমানে মুজাফফরপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি এবং নিয়মিত তাঁর ডায়ালিসিস চলছে। ছেড়ে চলে যাওয়ার আগেও স্বামী তাঁর যত্ন নিচ্ছিলেন বলে সুনীতা জানিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:২৫
Share:

নার্সিংহোমে জরায়ু অপসারণের নামে অস্ত্রোপচার করে সুনীতার দু’টি কিডনি বার করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

অস্ত্রোপচার করে বার করে নেওয়া হয়েছে স্ত্রী-র দুই কিডনি। স্ত্রীর মৃত্যু আসন্ন জেনেও পাশে থাকার বদলে তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গেলেন স্বামী। বিহারের মুজাফফরপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

‘ইন্ডিয়া টুডে’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মহিলার নাম সুনীতা দেবী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জরায়ুজনিত সমস্যার কারণে তাঁকে মুজাফফরপুরের বারিয়ারপুর এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু ওই নার্সিংহোমে জরায়ু অপসারণের নামে অস্ত্রোপচার করে তাঁর দু’টি কিডনি বার করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

প্রথম দিকে স্ত্রীর যত্ন নিলেও ঘটনার চার মাস পরে, সুনীতা এবং তিন সন্তানকে রেখে পালিয়ে যান সুনীতার স্বামী। সংবাদমাধ্যমে সুনীতা বলেন, ‘‘আমার স্বামী আমাকে বলেছিলেন যে, আমার সঙ্গে বেঁচে থাকা দায় এবং আমি বেঁচে থাকি বা মরে যাই, তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না।’’

Advertisement

সুনীতার কথায়, “আমার তিন সন্তান আছে। আমার স্বামী তাদের আমার কাছে রেখে গিয়েছেন। এখনও আমি হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুর দিন গুনছি। আমি যখন সুস্থ ছিলাম তখন শ্রমিকের কাজ করতাম এবং পরিবারের দেখাশোনা করতাম। এখন যে হেতু আমি অসুস্থ, সেই জন্যই আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন।”

৩৮ বছর বয়সি সুনীতা বর্তমানে মুজাফফরপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি এবং নিয়মিত তাঁর ডায়ালিসিস চলছে। ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানানোর আগেও তাঁর স্বামী তাঁর যত্ন নিচ্ছিলেন বলে সুনীতা জানিয়েছেন।

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সুনীতার জন্য উপযুক্ত কিডনি দাতা খুঁজে বার করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন