ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত সংকট, দুর্ভোগ ইসলামপুরে

রক্তের জন্য গোটা ইসলামপুর মহকুমার বাসিন্দারা নির্ভরশীল ইসলামপুর ব্লাডব্যাঙ্কের উপর। আর সেখানেই প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রক্ত সংকট চলায় সমস্যায় পড়ছেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। এরমধ্যে কোনও রক্তদান শিবিরেরও খবর নেই। কাজেই কবে রক্ত সঙ্কট মিটবে সেই সম্পর্কে কেউই নিশ্চিত নন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৫ ০০:০৫
Share:

রক্তের জন্য গোটা ইসলামপুর মহকুমার বাসিন্দারা নির্ভরশীল ইসলামপুর ব্লাডব্যাঙ্কের উপর। আর সেখানেই প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রক্ত সংকট চলায় সমস্যায় পড়ছেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। এরমধ্যে কোনও রক্তদান শিবিরেরও খবর নেই। কাজেই কবে রক্ত সঙ্কট মিটবে সেই সম্পর্কে কেউই নিশ্চিত নন।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুর নির্বাচনের বিধিনিষেধ শুরু হলেও রক্তদান শিবিরের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। তারপরেও এলাকাতে রক্তদান শিবির না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন রোগীর আত্মীয়রা। ইসলামপুরের মহকুমা শাসক ভিভু গোয়েল বলেন,“ব্লাড ব্যাঙ্ক রক্ত শূন্য তা জানা ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে এধরণের ঘটনা হওয়ার কথা নয়। এলাকার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বলা হয়েছিল ব্লাড ব্যাঙ্কের বিষয়ে অতিরিক্ত নজর রাখতে।”

ইসলামপুর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে প্রতিদিনই প্রায় দুই থেকে তিন ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। কোনও কোনও সময় প্রয়োজন হয় তার থেকেও অনেক বেশি। তবে বর্তমানে এ, বি, এবি এবং ও- কোনও গ্রুপের রক্তই নেই সেখানে। তাই ডিসপ্লে বোর্ডেও ব্লাড ব্যাঙ্ক রক্তশূন্য বলে উল্লেখ করা রয়েছে। শুধু ইসলামপুর মহকুমাই নয়, পড়শি রাজ্য বিহারের বাসিন্দারাও নির্ভরশীল ইসলামপুর হাসপাতালের উপর। এই হাসপাতালে অন্তত ৫০ জন থ্যালাসেমিয়া রোগী নিয়মিত রক্ত নিতে আসে। এর ফলে বছরভর থাকে রক্তের চাহিদা। এর উপর রয়েছে এলাকার নার্সিংহোম গুলিতে ভর্তি রোগীদের চাহিদাও। তাই এক ইউনিট রক্ত যোগাড় করতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। প্রত্যেককেই রক্তদাতাদের সঙ্গে নিয়ে পৌঁছাতে হচ্ছে হাসপাতালে। ইসলামপুরের বাসিন্দা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, “হাসপাতালে রক্ত নেই। এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কোনও উপায় না দেখে নিজেই রক্ত দিচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলি না করুক এলাকাতে এতো ক্লাব রয়েছে তারা তো রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে পারে।”

Advertisement

ইসলামপুরের ওষুধ ব্যবসায়ী সংগঠন বিসিডিএ এর সদস্যরা জানিয়েছেন, ইসলামপুর ব্লাডর ব্যাঙ্কে বিষয়ে তারা সবসময়েই সচেতন। ইসলামপুরের মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি বছর বেশ কয়েকটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকেন তারা। তবে ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, গরমের সময়ে প্রতিবছর রক্তের আকাল দেখা দেয়। ইসলামপুর হাসপাতালের সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “হাসপাতালে রক্ত নেই বলে শুনেছি। এলাকাতে রক্তদান শিবির না হওয়ায় সমস্যা তৈরী হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের উচিত এব্যাপারে এগিয়ে আসা”।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন