ফাইল চিত্র।
দীপাবলি কাটিয়ে এ বার ছট পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত দেশবাসী। সোমবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে চার দিন ব্যাপী ছটপুজো। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের পাশাপাশি নেপালেও পালিত হচ্ছে ছট। উপোস ও গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে ছট-মায়ের আরাধনা করেন ভক্তরা। জেনে নিন ছট পুজোর ইতিহাস, গুরুত্ব ও চলতি বছরের পুজোর দিন।
কিংবদন্তি
ছট পুজোর ইতিহাস ও সূচনা নিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকলেও রামায়ণ ও মহাভারতে ছট পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়।
রামায়ণ
সূর্য বংশের সন্তান হওয়ার কারণে শ্রীরামচন্দ্র নিয়মিত ছট পুজো করতেন। বনবাস কাটিয়ে অযোধ্যা ফেরার সময় রাম ও সীতা সূর্য দেবের উদ্দেশ্যে পুজো ও উপবাস করেন। সেই থেকেই ছট পুজোর সূচনা বলে মনে করা হয়।
মহাভারত
মহাভারত অনুযায়ী সূর্যদেব ও কুন্তীর পুত্র কর্ণ। কথিত, কর্ণ এই সময় সূর্যের আলোয় আবক্ষ জলে দাঁড়িয়ে দরিদ্রদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করেছিলেন। আবার নিজেদের রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য দ্রৌপদী ও পাণ্ডবরাও এই পুজো করেছিলেন বলেও কথিত রয়েছে।
বৈজ্ঞানিক কারণ
বৈজ্ঞানিক ভাবে মনে করা হয় এই পুজোর মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন দূর করা হয়। সূর্যের প্রথম আলোয় গঙ্গাস্নান করলে শরীরে সোলার বায়ো-ইলেকট্রিসিটি সঞ্চালিত হয় যা বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় সাহায্য করে। অনেকে মনে করেন শীতকাল শুরুর আগে এই প্রক্রিয়া শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে।
প্রথম দিন: নাহা খা (অক্টোবর ২৪, ২০১৭)
ছট পুজোর প্রথম দিন ভক্তরা স্নান না করে মুখে কিছু তোলেন না। স্নান করে চানা ডাল, ক্ষীর, কদ্দু কী সব্জি তৈরি করার নিয়ম।
দ্বিতীয় দিন: খরনা (অক্টোবর ২৫, ২০১৭)
খরনা পুজো শেষ হওয়া পর্যন্ত ভক্তরা উপবাস রাখেন। গুড়ের পায়েস ও পুরি খেয়ে উপবাস ভাঙার নিয়ম।
তৃতীয় দিন: পহেলা অর্ঘ্য (অক্টোবর ২৬, ২০১৭)
তৃতীয় দিনের উপবাস হয় সবচেয়ে কঠোর। এই দিন মহিলারা নির্জলা উপবাস করেন। সূর্যের উপাসনার সঙ্গেই চলে লোকগীতির মাধ্যমে ছটি মাইয়ার আরাধনা। সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত দিনব্যাপী গঙ্গা স্নান চলে।
চতুর্থ দিন: দুসরা অর্ঘ্য/পরণ (অক্টোবর ২৭, ২০১৭)
উদীয়মান সূর্যের পুজো করে উপবাস ভাঙেন ভক্তরা।