(বাঁ দিক থেকে) ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে মিয়ামিতে ‘গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে বলে দাবি করল আমেরিকা। ওই বৈঠক প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। মিয়ামি বৈঠকে হাজির ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতা রুস্তেম উমেরভের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি করেন তিনি।
গত শুক্রবার থেকে রবিবার তিন দিন ধরে আমেরিকার সৈকতশহর মিয়ামিতে উইটকফের মধ্যস্থতায় রাশিয়া, ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য ২০ দফার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’’ ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়টি তার মধ্যে অন্যতম বলে জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গাজ়ায় হামাস এবং ইজ়রায়েলের সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করার লক্ষ্যেও ২০ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ট্রাম্পের তরফে।
চলতি মাসের গোড়ায় ট্রাম্পের প্রতিনিধি উইটকফ এবং জেরার্ড কুশনায় মস্কোয় গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তার পরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছিলেন, ‘‘২৮ দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে চারটি পৃথক প্যাকেজে ভেঙে আমরা কথা বলেছি। ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’’ কিন্তু তার পরেও রুশ বাহিনী হামলার অভিঘাত নিয়ন্ত্রণ করেনি। মিয়ামি বৈঠকে হাজির রুশ প্রতিনিধিদলের নেতা কিরিল দিমিত্রিয়েভও যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও ইতিবাচক মন্তব্য করেননি।
গত ১৬ অগস্ট আলাস্কার ‘জয়েন্ট বেস এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন’-এ ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠকেও যুদ্ধবিরতির ‘শর্ত’ হিসাবে ‘ভূমি বিনিময়’ (ল্যান্ড সোয়াপিং)-এর উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বিশেষ করা রুশ জনগোষ্ঠীর বসতি ক্রাইমিয়া এবং ডনবাস (ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে চিহ্নিত করা হয়) যে কোনও অবস্থাতেই ইউক্রেনকে ফেরত দেওয়া হবে না, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একাধিক বার বার্তা দিয়েছে মস্কো। যদিও তাতে রাজি নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। যদিও মস্কোর শর্ত মেনে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্যপদ গ্রহণের চেষ্টা থেকে ইউক্রেন বিরত থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলিও জ়েলেনস্কির অবস্থান সমর্থন করেছে।